ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম একটি সতর্কীকরণ পোস্ট দিয়েছেন। শুক্রবার(২২ নভেম্বর) রাত ৯টা ২০মিনিটে uno tahirpur সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসটি দেন।
ঐ স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেছেন''হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামতে গঠিত পিআইসি কমিটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে কোনো ধরনের লেনদেন বা তদবির উক্ত পিআইসির অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে''
এই লেখাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকেই পরামর্শও দিয়ে লিখেছেন কিছু কথা। দিয়েছেন অনেকেই শেয়ার।
রিপন আহমেদ নামে একজন লিখেছেন,প্রকৃত পক্ষে হাওরের যাদের জমি আছে তাদের কে যেনো হাওরের বাঁধ নির্মাণ কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যদের জমির এসএ খতিয়ান
আরএস খতিয়ান পরচা দিয়ে যেনো বাঁধের কাজ যেনো না দেওয়া হয় স্যার। যদি ওই মৌজায় জমি আছে কি না তা যাচাই বাছাই করে কমিটি গঠন করা প্রয়োজন তাহলে হাওরের বাঁধ টেকসই হবে।
এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সহ সভাপতি কামাল হোসেনসহ সাংবাদিকগণ জানান,বোরো ধান হাওরাঞ্চলে কৃষকের জীবন জীবিকার এক মাত্র অবলম্বন। যার উপর নির্ভর করে সারা বছর খাবার,পোশাক,ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া, বিয়ে সব কিছু হয়৷ সেই সম্পদকে বিপদে ফেলবে এমন কাউকে বাঁধের কাজ দেয়া যে না হয়। প্রতি বছরেই দেখেছি সুবিধাবাদরা পিআইসি পেয়েছে আর কৃষকদেরকে বিপদে ফেলেছে। প্রকৃত কৃষক দায়িত্ব পেলে নিজের স্বার্থে বাঁধ মেরামত কাজ সঠিক ভাবে নির্ধারিত সময়েই করবে।
কৃষক নেতা মেহেদী হাসান উজ্জ্বল জানান,বাঁধ মেরামত কাজে বিগত সময়ের বিতর্কিত, ফ্যাসাদের দুসর, সুবিধাবাদি,ধান্দাবাজদের কোনোভাবেই বাঁধের কাজ দেয়া যাবে না। দিলেই লুটপাট করবে আর কৃষককে বিপদে ফেলবে। বাঁধে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন তাই দিতে হবে। লাভের জন্য কোনো ভাবে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া যাবে। সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দায়িত্বশীলদেরকে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান,পিআইসি দেয়াড় সময় কঠোর ভাবে যাচাই বাছাই করেই পিআইসি দেয়া হবে। কোনো ভাবেই কৃষক নয় এমন ব্যক্তিকে পিআইসি দেয়া হবে না। আর যারা পিআইসি পাবে আর ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতে কোনো অনিয়ম,গাফিলতি করবে তা সহ্য করা হবে না বলেও জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর