• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৪৫ মিনিট পূর্বে
মোঃ শাহিন আলম
কু.বি. প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০৮ দুপুর
bd24live style=

ক্যাম্পাসে ১৬ লাখ টাকা বাকি খেয়ে উধাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ২ লাখ টাকা আশেপাশে দোকানগুলো থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বাকি খেয়ে উধাও হয়ে গেছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হলের সাবেক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
 
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কুবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত হলে বাকি টাকা আদায়ের বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বরত মান্নু মজুমদার ও দোকানদাররা।
 
ভুক্তভোগীরা বলছেন,  দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খাবার ও অন্যান্য পণ্য বাকিতে নিয়ে পরিশোধ না করেই চলে গেছেন। শুধু ছাত্রলীগের বাকি নয়, কিছু শিক্ষকদের নামেও বাকি খাওয়ার অভিযোগ আছে।
 
বিভিন্ন হোটেল ও দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মামা হোটেলে প্রায় ১০ লক্ষ, নবী মামার হোটেলে ৪ লক্ষ, ভুঁইয়া জেনারেল স্টোরে ২০ হাজার, মির্জা ভেরাইটিজ স্টোর ১০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে। এছাড়া কিছু হোটেল বাকির টাকা বলতে অনিচ্ছুক।

দোকানীদের তথ্য মতে প্রথম সারির বাকি খাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ,  ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস,  সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম ও আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার সাকিব ও দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহসহ আরও অনেকে। নিরাপত্তার কারণে অন্যান্যদের নাম প্রকাশে করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁরা।
 
বাকির টাকা পরিশোধ না করলে ক্যাম্পাস গেইটে লিস্ট ঝুলে দিবেন বলে কুবি ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ছাত্রলীগের বাকি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী আমি। তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের খাবার সরবরাহ করেছি। বাকির পরিমাণ এখন ২ লাখ টাকার বেশি। সরকারের পতনের পর অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু কেউই টাকা পরিশোধ করেনি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি টাকা ফেরত না ফেলে বাকির তালিকা উন্মুক্ত করে দিব এবং প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানাব।ক্যাম্পাস-সংলগ্ন 'মামা হোটেলের' মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন শান্তিতে ব্যবসা করছি। গত ১৮ বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার হোটেল থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি বাকি খেয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারজন টাকা দিয়েছে।

'নবী মামা' হোটেলের মালিক মোহাম্মদ নূরূন নবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার হোটেল থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার বাকি খেয়েছে। তখন ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে কথা বলার সুযোগও দিত না। এখনও কোনো টাকা পাইনি।
 
বাকি খাওয়া ব্যক্তিদের নাম কেন প্রকাশ করবেন না এমন প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশ দোকান মালিকরা বলেন,  দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে তাদের সেটা জন্য সেটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। যেহেতু তাদের ব্যবসা করতেই হবে তাই আশঙ্কা করেন নাম প্রকাশ করলে পরবর্তীতে তাদের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পায় নি। যদি সঠিক তথ্যসহ কেউ অভিযোগ দেয় আমরা তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করবো।
 

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com