• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১২ সেকেন্ড পূর্বে
নূর-ই-আলম সিদ্দিক
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৪ দুপুর
bd24live style=

রাষ্ট্র সংস্কারে স্বৈরতন্ত্রের পিলার বদলায় দিতে হবে:  নাগেশ্বরীতে হাসনাত কাইয়ুম

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে রাষ্ট্র সংস্কারে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের হাজিরমোড় নতুন স্লুইস গেটে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩ দফা দাবির মধ্যে দুধকুমার নদের তীর সংরক্ষণ দ্রুত বাস্তবায়ন, হাট-ঘাটের খাজনা বাতিল ৩. স্বাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় এ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার প্রচার সমন্বয়ক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-নাহিদ হাসান নলেজ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনাদের সন্তানেরা দেশে ৭১ লড়াইয়ের মত আর একটা লড়াই করেছে। যে লড়াইটা কেবল তারা একটা সরকারের পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি।  তারা বলেছে সরকারকে যেতে হবে হাসিনাকে যেতে হবে। এবং আর যেন কোনো হাসিনা তৈরি না হয় সেজন্য স্বৈরতন্ত্রের পিলার বদলায় দিতে হবে। স্বৈরতন্ত্রের পিলার হচ্ছে দেশের সংবিধান, আইন, সংসদ, আদালত।

তিনি আরো বলেন,আপনারা চেয়েছেন পাকিস্তানিরা যাবে, তারা গেছে। বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু এই ভূ-খণ্ডে প্রত্যেকবার শাসক গেছে কিন্তু আইন পরিবর্তন হয় নাই। ৫৩ বছর গেছে আইন বদলায় নাই। এবার তা বদলাতে হবে। ওরা সংসদে বসে টাকা চুরির আইন করবে আর বলবে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে তা হবে না।  জনগণকে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে। আপনারা যদি আওয়াজ তোলেন, আপনার পক্ষে আইন চান,তাহলে তাহলে এ সরকারকে দিয়েই আইন করে নিবো। যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেই লড়াই চালু রাখতে হবে। আপনাদের জয় অনিবার্য যদি আপনারা লড়াই করেন।"

হাট-ঘাটের খাজনা বাতিলের বিষয়ে নাহিদ হাসান নলেজ তাঁর বক্তব্য বলেন, জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে ১৯৫০ সালে। জমিদাররা সরকারের কাছে জমি ইজারা নিত আর আমরা কৃষকরা তাদের কাছে খাজনা দিয়ে জমি আবাদ করতাম। এখনও হাট ও ঘাট সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয় আর আমরা ইজারাদারদের খাজনা দিয়ে হাটে সদাই বেচা-কিনা করি,নদ-নদীতে নৌকা চালাই,যাত্রীরা খাজনা দেই। কিন্তু হাট ও ঘাট থেকে জমিদারি নিয়ম বাতিল না হওয়ায় সরাসরি সরকারকে হাট ও ঘাটের খাজনা দিতে পারি না। সড়কে গাড়ি চালাতে খাজনা দিতে হয় না, অথচ সড়ক মেরামতে সরকারকে খরচ করতে হলে নদনদীতে সরকারের কোনও খরচ নেই। তবুও নদনদীতে কেন খাজনা দিব? মুক্তিযুদ্ধের পরপরই হাট ইজারাদারি তুলে দেওয়া হয়েছিল।  ২/৩ বছর জনগণ নিজেদের হাট নিজেরা পরিচালনা করেছে। হাট কমিটি হাট পরিচালনা করায় খাজনা তেমন ছিল না। তারপর আবারও বৃটিশের ইজারাদারি প্রথা চালু হয়। 

৫৩ বছর ধরে আ.লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামাত এই ইজারাদারি প্রথার সুবিধা ভোগ করছে। তারাই হয়ে উঠেছে নতুন জমিদার। তাই তারা কেউ হাট-ঘাটের ইজারা তুলে দেওয়ার পক্ষে কথা বলবে না। ১৭৬৩ সালের ফকির সন্ন্যাসীদের বিদ্রোহ থেকে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে ২৪'র গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আমরা এই ইজারাদার বিরুদ্ধে  লড়াই করেছি। আমাদের শহিদেরা কি এই জন্য জীবন দান করেছেন!"

স্থানীয় সরকারকে নিয়ে আরিফুর ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭২ এর সংবিধানে স্থানীয় সরকার বলতে কিছু নেই। স্থানীয় সরকারের বদলে 'স্থানীয় শাসন' লেখা আছে। মানে কেন্দ্র ঢাকার প্রতিনিধিরা আমাদের শাসন করছে। আমাদের জেলা ও উপজেলা কেমন করে গড়ে তুলব তা ঠিক করে দেয় এমপি-ডিসিরা। অথচ এমপিদের কাজ ছিল আইন প্রণয়ন করা আর ডিসি-এমপিরা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অধীনে পরিচালিত হওয়ার। কথা ছিল,প্রতিটি জেলা থেকে ভ্যাট বাবদ প্রতিবছর গড়ে যে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঢাকায় জমা হয়, তা জেলার টাকা জেলায় ফেরত আসার। প্রতিবছর ১৫ হাজার কোটি টাকা ফেরত এলে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকায় ১শটি ১শ কোটি টাকার কারখানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তখন কুড়িগ্রাম জেলাকেই ইউরোপের মত উন্নত করা সম্ভব।  অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের অধীনে ডিসি ও এসপিরা থাকলে আর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের যেকোনো সময় জনগণ দ্বারা অপসারণের ক্ষমতা থাকলে জনগণের উপর আমলা ও পুলিশেরা দাপট দেখাতে পারতো না। ইউরোপ-আমেরিকার মত জনগণকেই অফিসাররা স্যার বলে সম্বোধন করতো। -এই জন্যই তো মুক্তিযুদ্ধে ও গণঅভ্যুত্থানে জীবন দান করেছি।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যায়পাল,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য- অ্যাডভোকেট রায়হান কবীর,জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-কনক রহমান এবং কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহ - সমন্বয়ক শাহ মোমেন রিপন প্রমূখ।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com