চরফ্যাশন উপজেলার কুতুবগঞ্জ-চেয়ারম্যান বাজার সড়কের সংস্কার কাজ না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারীরা। সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত থাকার কারণে বর্তমানে ১০ কিলোমিটারের এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ চরফ্যাশনের সামরাজ মৎস্য ঘাট। এছাড়াও রয়েছে মাইনুদ্দিন মৎস্য ঘাট, খেজুর গাছিয়া মৎস্য ঘাট, পাঁচ কপাট মৎস্য ঘাটসহ ছোট বড় প্রায় দশটির মতো মৎস্য ঘাটের ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ঢাকার পথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। অন্তত ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে রাস্তায় প্রায় বিকল হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। এছাড়াও যাত্রীবাহী কয়েক শত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি তিন বছর আগে একবার সংস্কার করা হয়। নিম্নমানের বিটুমিন দেওয়ার কারণে সংস্কারের তিন মাসের মধ্যে সড়কের কার্পেটিং উঠে যায়। এভাবে দায়সারাভাবে কাজ না করে দ্রæত সংস্কার করা হোক যেন সড়কটি টেকসই হয়। বারবার যেন হয়রানি হতে না হয়।
সামরাজ মৎস্য ঘাট থেকে মাছ নিয়ে আশা ট্রাক চালক আবদুল মালেক জানান, খুব সতর্কতার সঙ্গে মালবাহী ট্রাক নিয়ে চলতে হয়। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে অনেক চালক এসব ঘাটের মাছ পরিবহণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
সামরাজ মৎস্য ঘাটের আড়তদার শাহিন আলম জানান, সামরাজ মৎস্য ঘাট থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সরবরাহ করার যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। ১০ কিলোমিটার রাস্তা ২০ মিনিটের পথ কিন্তু এখন এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অনেক সময় ফেরি ধরতে না-পারলে মাছ নিয়ে ফেরত এসে লঞ্চে পাঠাতে হয় মাছ। এতে লোকসান গুনতে হয়। এসময় দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোশারেফ হোসেন জানান, গত তিন বছর আগে সিলকোট করা হয়েছে। সিলকোট করার তিন বছরের আগে এই রাস্তার বরাদ্দ হয় না। এখন বরাদ্দ হয়েছে খুব শিগগিরই এই রাস্তার কাজ শুরু করবো।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর