
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমি একটি উন্নয়নের শ্রোতধারা ও ট্রেন চালু করতে চাই। যে ট্রেন শিগগিরই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নের সড়ক ও নিজস্ব লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সড়কের দিকে ধাবিত করবে। এই ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নত, আর্দশ ও ছাত্রবান্ধব ও বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি করবে। আমরা আশা করি আমরা এটি জয় করতে পারব। এমনকি আমরা সকলে মিলে আগামীর দেশকেও একটি বৈষম্যহীন ও নির্দলীয় দেশ হিসেবে রূপ দিতে চাই।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সজ্ঞানে-স্বেচ্ছায়, সুচিন্তায়, সচেতনতায় ও দায়িত্ববোধের সাথে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করব। আমার স্বার্থ একটাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ ও অঙ্গিকার সাধন করা। পিছিয়ে পড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মডেল বিবেচনা করে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ দিতে চাই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনাকে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। কারণ, আমিই একমাত্র সকল চিন্তার আধার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি যদি একটি বাগান বলা হয় শিক্ষার্থীরা সেই বাগানের ফুল আর শিক্ষকরা হচ্ছেন ফুলের মধু। তাই তোমাদের পরামর্শকেই আমি গুরুত্ব দিতে চাই। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করে শহীদের রক্তের ঋণের পরিশোধের জন্য আমি কাজ করে যাব। আমার কাছে উপাচার্য পদ নয় বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। আমি নিজেকে উপাচার্য নয় সেবক মনে করতে চাই।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ দুই হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত করা হয়। এদিন সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্ধোধন করা হয়। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের নেতৃত্ব এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩৬ টি বিভাগের তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর