ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে কুমার নদের পাড়ে প্রায় সাড়ে ৩'শ মিটার সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজার মানুষ। উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল দশা যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মেলা দায়। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক খাল খন্দে ভরে গেলেও বর্তমানে তা পায়ে হেঁটে চলার ও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে পথচারীরা। কোন জরুরি অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশের সুযোগ নেই এ সড়ক দিয়ে।
তবে দুঃখজনক বিষয় হলো প্রায় তিন বছর আগে এখানে প্রায় সাড়ে ৬'শ মিটার টেন্ডার হয়েছিল। জুঁঙ্গুরদী খাদ্যগুদাম হতে কুমার নদের পাশ দিয়ে জুঁঙ্গুরদী খালপাড় পর্যন্ত আরসিসি রাস্তার টেন্ডার হয়। ৩ মার্চ ২০২১ খ্রি. থেকে ২৩ জুন ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ ছিল।
পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বাবলু মাতুব্বর বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি কাজটি করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয়দের বাড়াবাড়ির কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঠিকাদার হাসিবুল হাসান আব্দুল্লাহ্ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিডি২৪লাইভকে বলেন, প্রায় সাড়ে ৬'শ মিটার সড়কের মধ্যে আনুমানিক ৩'শ মিটার কাজ করেছি। পৌরসভা থেকে বিল না দেওয়ায় এবং স্থানীয়রা বার বার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এটা আমার নিজ এলাকা, আমার ও একটা আবেগ ছিল, আমি লাভ ক্ষতি হিসাব করিনি। কাজটি ভালোভাবেই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। এতে আমি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এবং স্থানীয়দের দুর্ভোগ ও বেড়েছে। বাকি কাজ শেষ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বকেয়া পরিশোধ করলে আমি পিডি'র (প্রজেক্ট ডিরেক্টর) সাথে যোগাযোগ করে দেখব, যদি সম্ভব হয় তাহলে কাজটি করে দিব। যেহেতু দুই বছর আগে টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয়েছে কাজেই আমি চেষ্টা করব কাজটি করার কিন্তু নিশ্চিত বলতে পারছি না।
নগরকান্দা পৌরসভার সাবেক মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বিডি২৪লাইভকে বলেন, ঠিকাদার রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে কাজে অনিয়ম করেছিলো তাই তাঁর কাজের বিল বন্ধ করা হয়েছিলো তবে যতোটুকু কাজ করেছে তার সমপরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
নগরকান্দা পৌরসভা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসএম লুৎফর রহমান রানা বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ বিষয়ে ঠিকাদারকে একটি চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি যদি কাজটি করেন তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। না করলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নগরকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ্ বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই ঠিকাদারকে একটি চিঠি পাঠানো হবে। তিনি কেন কাজটি করেননি তা জানতে চাওয়া হবে। তিনি কাজটি না করলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর