যানজট নিরসন এবং প্যাডেল চালিত রিকশা সমূহ ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের চরম অভিযোগের মুখে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ একটি ভাড়ার চার্ট নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু বর্তমানে সেই চার্টটি কোন চালকই মানছেন না। যত্রতত্র রিকশা চালানো এবং ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়া এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রিকশা চালকদের মাঝে পূর্ব নির্ধারিত চার্টের ভাড়া তারা কোনোভাবেই মানতে নারাজ। বর্তমানে ফেনী সরকারি কলেজ, শহীদ মার্কেট, ফেনী পৌরসভা যে কোন স্থান থেকেই রিকশা নিয়ে ট্রাংক রোড় কিংবা নবী হোটেল পর্যন্ত আসলেই ২০ টাকা ভাড়া চায় চালকরা। কিন্তু চার্টে ১০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘণ্টায় ১০০ টাকা এবং যাত্রীর সুবিধা অনুযায়ী যেকোন স্থানে যাতায়াতের কথা উল্লেখ আছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে নিয়মিত চলছে বাকবিতণ্ডা। এছাড়াও ট্রাংক রোড থেকে পাঠানবাড়ী পর্যন্ত ১৫ টাকা ভাড়া চার্টে উল্লেখ থাকলেও সেখানে ৩০ টাকার কমে মানছেন না চালকরা।
এ বিষয়ে কয়েকজন চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, পৌরসভা নির্ধারিত ভাড়া ৫ তারিখের পর থেকেই অগ্রাহ্য হয়ে গেছে। এখন এই চার্টের ভাড়া কেউই মানতে রাজি নয়।
রংপুরের রবিউল হক নামে এক রিকশাচালক জানান, বর্তমানে তারা শহীদ মার্কেট থেকে ট্রাংক রোড় পর্যন্ত ২০ টাকা ট্রাংক রোড় থেকে মিজান রোড় পর্যন্ত ২০ টাকা মিজান রোড থেকে ফেনী কোর্ট এলাকা পর্যন্ত ২০ টাকা এভাবে ভাড়া স্বেচ্ছায় নির্ধারণ করেছেন। কোথাও ১০ টাকা ভাড়া দিলে তা তারা নিবে না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিসআর ফেনী জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, রিকশা ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে নিয়মিত বাকবিতণ্ডা হচ্ছে এটি অবহিত হয়েছি। ৫ তারিখের পর তারা ঠিকমতো পৌর নির্ধারিত পোষাক পরিধান করতেও নারাজ। এছাড়াও রিকশা সমূহ যত্রতত্র চলাচল যানজটের অন্যতম কারণ।
ইফতেখার অনিক নামে ফেনী কলেজের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, গত কিছুদিন পূর্বে ফেনী কলেজ হতে রেলগেইট পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ভাড়া চেয়েছে ৩০ টাকা। চার্টে ১৫ টাকার কথা থাকলেও ২০ টাকা দিতে চাইলে তিনি কোনভাবেই মানতে রাজি নন।
এ বিষয়ে ফেনী পৌরসভার প্রশাসক আব্দুল বাতেন জানান, ভাঙ্গা পৌরসভা দায়িত্ব নিয়েছি,ইতিমধ্যে বন্যায় ও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রথমে যানজট পরবর্তীতে রিক্সাচালকদের পোশাক ও ভাড়া নিয়ে দ্রুত সমাধান করে দিব।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর