হিমকন্যা পঞ্চগড়ে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শীতের দাপট। হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে বসছে শীত। রেকর্ড হচ্ছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকন শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরের সীমান্ত জনপদে। ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষকে। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যান চালকরা কাজে বেরিয়েছে সকাল-সকাল। নবান্নের ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরা।
নভেম্বরের শেষ দিক থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের কয়েকটি স্থানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাস থেকে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (৮-১০°সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬-৮°সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এসময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬° সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, শীতের পাশাপাশি শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে এবং এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর