বীর মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন গাজী ছিলেন সাংবাদিকদের আশ্রয়স্থল। যিনি দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে জীবনভর মানবকল্যাণের জয়গান গেয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। শত বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন।’
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর স্মরণ সভায় সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরি এসব কথা বলেন। সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা নেত্রকোনা জেলা শাখা এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব ও আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ম. কিবরীয়া চৌধুরী হেলিম। সঞ্চালনা করেন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দিলওয়ার খান।
বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রাবন্ধিক ননী গোপাল সরকার, জেলা সুজনের সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, জামায়াত ইসলামের জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছ, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজজামান দুদু, কবি তানভীর জাহান চৌধুরি, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান, কবি এনামুল হক, জ নক ণ্ঠের সাংবাদিক সঞ্জয় সরকার, প্র থম আলোর প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর হানিফ উল্লাহ আকাশ প্রমুখ।
মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী ছিলেন একজন সৎ, নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক। তিনি ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক তৈরির কারিগর ছিলেন। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি। তরুণ, যুবক, প্রবীণসহ সব বয়সী মানুষকে কাছে টানতে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব ছিল। তিনি বাইকে একত্র করতে পারতেন। ‘
ম. কিবরীয় চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এই সমাজে আলোকিত মানুষের বড় অভাব। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার মানুষ ছিলেন রহুল আমিন গাজী। তিনি এই সমাজকে আলোর পথ দেখিয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের পাশে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। যে কারণে মৃত্যুর পরেও তিনি প্রাসঙ্গিক। তাঁর নীতি-আদর্শকে ধারণ করে চলতে হবে।’
দিলওয়ার খান বলেন, ‘একজন নেতার যা যা গুণাবলি থাকার প্রয়োজন তা সব রহুল আমিন গাজীর ছিল। তিনি যোগ্যতার সঙ্গে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তাঁর কোনো বিকল্প ছিল না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে অন্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। তবু তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হননি।’
রহুল আমিন গাজী ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি কিডনিসংক্রান্ত রোগসহ বিভিন্ন রোগে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর