
নেত্রকোনায় স্ত্রী তমালিকা আক্তার (২০) কে হত্যার দায়ে স্বামী রাসেল মিয়ার মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।
মামলায় অপর আসামি হিমেল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল। অপর এক নারীকে ১ বছরের দণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার বারহাট্টা উপজেলার পারিবারিক কলহের জেরে চরসিংধা ভাটিপাড়া গ্রামে আব্দুল হাসিমের ছেলে একই গ্রামের রহিজ মিয়ার মিয়ার মেয়ে তমালিকা আক্তারকে ২০১৯ সালের বিয়ে করে। বিয়ের পর তমালিকা জানতে পারে তার বিয়ের পূর্বেই স্বামী রাসেল মিয়া রোকিয়া আক্তার নামে আরেক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। তমালিকার স্বামী রাসেল মিয়া তাকে প্রায়ই মারধর করতো। এরপর তমালিকা বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এ ঘটনার পর গ্রাম্য সালিশে আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তমালিকাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর পরদিন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারী রাতে স্বামী রাসেল মিয়া তার ভাই হিমেল মিয়া ও মা মাজেদা বেগম মিলে ৭ মাসের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী তমালিকাকে জবাই করে হত্যা করে বসতঘরের বারান্দায় ফেলে রাখে। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে রাসেল মিয়া সহ আসামীরা ঘা ঢাকা দেয়।
এ ঘটনার পর ১০ জানুয়ারি তমালিকার বাবা রহিজ মিয়া বাদি হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৬ অক্টোবর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবুল হাশেম এবং আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মো. আব্দুল কাদের।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর