বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, হাসিনা শুধু রক্তের হোলিখেলা পছন্দ করেন। সাইদ ও মুগ্ধদের মতো দুই হাজারের বেশি শহীদদের এতো রক্ত ঝড়েছে তাও তার মনে কোন অনুতপ্তের উদয় হয়নি। উলটো রক্তপিপাসু হাসিনা নিলর্জ্জের মতো বলেছে, সাইদ মারা গেছে রক্তক্ষরণে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তুমি সাইদের মাকে জিজ্ঞেস করো, তার বুকে কি রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যদি তোমার ছেলের এরকম হতো তাহলে তুমি কি এ কথা বলতে পারতে? এমনকি আওয়ামী লীগের কেউ অনুতপ্ত হননি। মূলত হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা পছন্দ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও দিবস উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ধোপাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ^াসী ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াও গণতন্ত্রে বিশ^াসী বলেই ২০০৮ সালে নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিরোধী ছিলেন। বেগম খালেদা পালিয়ে যায়নি। বিএনপি পালায়নি। আর খুনি হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করে ও দেশের মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে নির্বাচন করেছে। শেখ হাসিনার এতো দাম্ভিকতা হয়েছিল যে তিনি নিজেকে আল্লাহ ভাবতেন। কিন্তু আল্লাহ একজনও। আল্লাহ তার দাম্ভিকতা পছন্দ করেনি। তাই তার কপালে গণভবনের রান্না করা খাবার জোটেনি। পালিয়ে যেতে হয়েছে।
সমাবেশে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আওয়ামীলীগ বিষধর সাপ। এ সাপের সাথে কোন সম্পর্ক রাখবেন না। কোন সম্পর্ক রাখলে বা তাদের উপার্জিত হারাম টাকা খেলে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা বিএনপি করতে পারবেন না। যারা বিএনপির সাথে বেইমানি করে আওয়ামী লীগ নামধারী বিষধর সাপকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন তারা একসময় সেই বিষধর সাপের ছোবলে পড়ে মারা পড়বেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আওয়ামীলীগকে মানুষরূপী হায়েনা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার বাবা মুজিবর ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত শেখ মুজিবর রহমান ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলার মানুষ মুজিব খুন্টি খেত (আটার জাই), শাপলা সেদ্ধ খেত, কাপড়ের অভাবে বাসন্তি জাল পড়ে থাকত। সেই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিল এবং একটি দল উপহার দিয়েছিল, যার নাম বিএনপি। আর এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান ২৭ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হাসিনার ফাঁদে পা দিবেন না। হাসিনা আপনাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ কর্মীদের হিন্দু বানিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকতে কোন সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচার হতে দিবে না। বিএনপি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, বিএনপি নেতা নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, ভিপি শামীম, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, যুবদল নেতা মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদল নেতা জোনায়েদ আহমেদ সবুজ, সিরাজুল ইসলাম সেরাজ প্রমুখ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর