নাটোরের বড়াইগ্রামে মহাদেব মাহাতোব (৫২) নামের আদিবাসীর চারটি বাচ্চাসহ একটি শুকর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিক অমর ডি কস্তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই আদিবাসী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর থেকে জানা যায়, আনুমানিক ১২ দিন পূর্বে প্রসব বেদনা অবস্থায় একটি শুকর রেখে আসে পার্শ্ববর্তী দিয়ার পাড়া মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। ৫/৬ দিন পূর্বে বাচ্চা সহ শুকর আনতে গেলে জানতে পারেন সাংবাদিক অমর ডি কস্তা শুকর চুরি করে নিয়ে উপজেলার শ্রীখন্ডী গ্রামের মি. টমাস এর ছেলে মি. শ্যামল এর কাছে বাগি (আধা অংশ) দেয়।
চোরাই জিনিস মি. শ্যামলের পরিবার রাখতে অ-স্বীকৃতি জানালে এবং বিষয়টি কানাঘষা শুরু হলে ঐ সাংবাদিক অমর ডি কস্তা ও তার সহযোগী আরেক কথিত সাংবাদিক শুরুজ আলী ওই শুকর বনপাড়া পৌরসভার লুইস এর স্ত্রী রানী এর কাছে বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে। অভিযুক্ত অমর ডি কস্তা বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের মৃত পল ডি কস্তার একমাত্র সন্তান।
ভুক্তভোগী উপজেলার পার বাগডোব গ্রামের দশরত এর ছেলে মাহাদেব মাহাতোব জানান, আমার একটি শুকর এর বাতান রয়েছে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন চারণভূমিতে শুকর নিয়ে যাই। কোন শুকর এর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে নির্জন স্থানে রেখে আসতে হয়, আমি আমার একটি শুকর দিয়ারপাড়া কালী মন্দির এর কাছে রেখে আসি। মা শুকরটি চারটি বাচ্চা জন্ম দেয়।
আমি পরে শুকরটি ফিরিয়ে আনতে গেলে জানতে পারি, অমর ডি কস্তা নামের এক সাংবাদিক চুরি করে নিয়ে গেছে এবং শ্রীখন্ডী গ্রামের মি শ্যামল এর বাড়িতে রেখেছে। আমি শ্যামলের বাড়িতে গেলে, খবর পেয়ে অমর ডি কস্তা আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি বিভিন্ন মহলে জানালে, অমর ডি কস্তা তড়িঘড়ি করে ঐ মা শুকরসহ চারটি বাচ্চা বনপাড়া পৌরসভার লুইস এর স্ত্রী রানী এর কাছে বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন ।
এ বিষয়ে মি. শ্যামল জানান, চারটি বাচ্চা সহ একটি মা শুকর অমর ডি কস্তা আমার কাছে বাগি দেয়, আমার পরিবার চোরাই জিনিস রাখবে না জানালে, সে ওই শুকর ফিরিয়ে নিয়ে যায় এবং অন্যত্র বিক্রি করে। একই সাথে আমাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে চার হাজার টাকা দেয়, আমি ফেরার পথে মহিলা কলেজ সংলগ্ন মৃত জান মোহাম্মদ এর ছেলে জনৈক সেলিমসহ তার লোকজন আমার পথ রোধ করে আমাকে মারপিট করে এবং টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
চোরাই শুকর ক্রেতা রানী জানান, চারটি বাচ্চা সহ ওই শুকর সাংবাদিক অমর ডি কস্তা ও সুরুজ আলী তার কাছে বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিক অমর ডি কস্তার মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে ম্যাসেঞ্জার এ জানান, প্রকৃত মালিক আমার কাছে বিক্রি করেছে। আমি কিনে অন্যত্র বিক্রি করেছি, বিষয়টি আমরা খ্রিস্টানরা বুঝবো।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানাধীন বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ সরল মুরমু জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর