কুমিল্লার তিতাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় এক যুবলীগ নেতা ও এক নারীসহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আটককৃত আশিকুর রহমান উপজেলা সাতানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের দ্বিতীয় গোবিন্দপুরের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, আশিক ও একই গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় তাদেরকে হাতেনাতে ধরে চেয়ারের সাথে বেধে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।তাদের আটকের ভিডিও মূহুর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশিক সাতানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। সে ষোল বছর ধরে আ.লীগের ক্ষমতার দাপটে ওই এলাকার রাস্তাঘাট, কবরস্থানের নামে বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করেই সেই টাকা আত্মসাৎ করার কাঁড়ির কাঁড়ি অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকায় পান থেকে চুন খসলেই তাকে দিতে হতো চাহিদা অনুযায়ী অর্থ। হাঁস-মুরগী নিয়ে ঝগড়া হলেও সেই বিচার করার নামে করতো বিচার বানিজ্য। জমি কেনাবেচা থেকে শুরু করে কেউ নতুন ঘর বাড়ি নির্মাণ করলেও তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে হতো তাকে।
এছাড়া এলাকার অসহায় গরীব ও নিরীহ মানুষের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতাসহ সরকারি বিভিন্ন ভাতা কার্ড করে দিবে বলেও টাকা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে টেগোরা আশিক মেম্বারের বিরুদ্ধে। এর আগে এলাকার ৫- ৭ বার তাকে নারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে হাতানাতে ধরে ছেড়ে দিতে হয়েছে এক প্রভাবশালী আ.লীগ নেতার বহাল তদবিরের কারণে। আর সেই প্রভাব বিস্তার করেই আ.লীগের ষোল বছরের শাসনামলে এলাকার নিরীহ ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের মামলায় ফাঁসিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল টেগোরা আশিক।তার অত্যাচর-নির্যাতনের শিকার হয় নাই এমন লোক খোঁজে পাওয়া যাবে ওই এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, আমি তার অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার নামে ১৪- ১৫ টি মামলা ঠুকে দিয়েছিল আশিক মেম্বার।তাকে আটক করার খবর শোনার পরই এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান এলাকার মানুষ জন।
এ ব্যাপারে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, ৫ আগষ্ট নাশকতা মামলার আসামি আটক করা হয়েছে এমন খবর শুনে আমরা আশিক নামের একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছি। আর আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াওয়ের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর