আজ ১ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। বিজয়ের মাসে বিজয় উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের করা হয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য এই র্যালির উদ্বোধন করেন। উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যালিটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এবছরের বিজয় দিবস উদযাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের ছাত্র-জনতা অনেক রক্ত দিয়ে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। এই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের দায় ও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এখান থেকে আমাদের পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সকল বাধাবিঘ্ন ও ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ। আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আশা করছি, আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলা আরও সুগম হবে এবং সব বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র আমরা পেরিয়ে যাবো।”
এদিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশাও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার যুদ্ধেও প্রাণকেন্দ্র ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিজয়ের যে আনন্দ শুরু হয়েছে, তা যেন আমরা সবসময় ধরে রাখতে পারি। বিশেষ করে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আজকে যে বিজয় র্যালি, এর মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব।”
র্যালিতে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির গান ও বিজয়ের গান) পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিজয় র্যালির কর্মসূচি শেষ হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর