সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্য মূলক ধারা গুলো সংশোধন করে চুক্তির পুনঃ মূল্যায়ন করার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি বনরূপাস্থ একটি রেস্টুরেন্টে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়,প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎকালীন শান্তি বাহিনী রক্তের হোলি খেলায় মেতেছিল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে অনাকাঙ্ক্ষিত এসব ঘটনার অবসান ঘটে। সোমবার সেই পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি হচ্ছে। শান্তি চুক্তির পর কেটে গেছে ২৭টি বছর। একের পর এক চুক্তির বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে পাহাড় জুড়ে। সরকারের দাবি চুক্তির অধিকাংশ ধারাই এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট কিছু ধারা বাস্তবায়নাধীন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানও ১৬ বার সংশোধিত হয়েছে। কোনো চুক্তি বা আইন তো আর সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। কেননা, আইন ও চুক্তি হয়ে থাকে সংবিধানের আওতায়। শান্তিচুক্তিও সেভাবে বাংলাদেশ সংবিধানের আওতায়ই হয়েছে। সেকারণে শান্তিচুক্তিতে সংবিধান বহির্ভূত বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু থাকা উচিত নয়। শান্তিচুক্তির দুই দশক পরে আজ সময়ের দাবি শান্তিচুক্তি পুনর্মূল্যায়নের। তাই সংবিধান, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক যে-সব ধারা, উপধারা দৃশ্যমান হবে তা সংশোধন করতে হবে।
তাই সংবাদ সম্মেলন থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন করে পাহাড়ের উপজাতি(ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী)-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য দূর করে সমতা আনয়ন পূর্বক চুক্তির পুনঃ মূল্যায়ন করার দাবী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনে ব্যর্থ আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার অপসারণ,পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যাহারকৃত নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের জোর দাবী জানানো হয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, রাঙ্গামাটি পৌর কমিটির সভাপতি ডা. মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর হোসেন প্রমুখ।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর