প্রতি বছরের মত এবছরও সুনামগঞ্জে বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের মেরামত কাজের পিআইসি নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে কৃষক নামধারী,সুবিধাবাদী সিন্ডিকেটের লোকজন। তারা নামে বেনামে আবেদন করছেন আর সাথে যুক্ত করে দিচ্ছেন জমির খতিয়ানসহ বিভিন্ন ভুয়া কাগজ পত্র।
এর মধ্যে ভূমি অফিসে জমির খতিয়ান যাচাই বাছাইয়ে গিয়ে বেধেছে বিপত্তি। খতিয়ানে সব ঠিক থাকলেও আবেদনকারীদের নাম সঠিক নয়। অন্যের জমির খতিয়ান তুলে এডিট করে আবেদনকারীরা নিজেদের নাম যুক্ত করেছেন। এমনি তথ্য পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পিআইসি নিয়ে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বর্ধিত গুরমার হাওরে উপ-প্রকল্প বিগত ২০২৪ ইং অর্থ বছরের ২৫নং পিআইসির সম্পূর্ণ কাজ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করি। বর্তমানে আমরা নিম্ন বর্ণিত ব্যক্তিগণকে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে উপ-প্রকল্প কমিটিতে আওতাভুক্ত করার আবেদন করেছেন আবুল হোদাসহ ৭জন। সেখানে তিনি সভাপতি বাকিরা সদস্য পদে রয়েছে। তিনি আবেদনের সাথে যুক্ত করেছেন জমির খতিয়ান ১৪৯ নং। কিন্তু এই খতিয়ানে সব সঠিক থাকলেও জমির মালিকের নামে এডিট করে ভিন্ন নাম যুক্ত করা হয়েছে। তারা তারা হলেন,জাহাঙ্গীর আলম,আবুল হুদা পিতা আব্দুল জব্বার সাং পাটাবুকা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শামস সাদাত মাহমুদউল্লাহ জানান,ঐ আবেদন কারীর খতিয়ান যাচাই করতে গিয়ে দেখি সঠিক নয়। খতিয়ানটি তাহিরপুর থানার জগদীশপুর মৌজায় জেএল নং ১৪,খতিয়ান নং ১৪৯ মালিকের নামে রয়েছে রেনু মিয়া,সেনু মিয়া,আলিম উদ্দিন ও আহাদ নুর পিতা আব্দুল ছাত্তার সাং জয়পুর রয়েছে। এরপর তাকে অফিসে আসার জন্য বলা হলেও তিনি আসেনি। তবে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান,হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত কাজে নীতিমালা অনুযায়ী সকল শর্ত মেনেই সঠিক কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। এর বাহিরে কোনো সুযোগ নেই। আর যারা পিআইসি নিতে গিয়ে ভুয়া কাগজ সংযুক্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর