নবীগঞ্জ উপজেলার ভাটি অঞ্চল খ্যাত বড় ভাকৈর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে দু`দল লোকদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ঘণ্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। এরমধ্যে গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সোনাপুর গ্রামের মসজিদ উন্নয়নের জন্য সরকারি ডুবা রকম কিছু ভুমি বন্দোবস্ত আনার জন্য গ্রামবাসী একই গ্রামের আব্দুল মালিক কে দায়িত্ব দেন। খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। কথা ছিল মালিক গ্রামের পক্ষে আলমাছ মিয়া ও খালেদ মিয়ার নামে বন্দোবস্ত আনবেন। তা না করে আলমাছ ও তার ভাই আবুল কালামের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে আসেন। আলমাছ তার অংশ গ্রামবাসীর নামে বুঝিয়ে দিতে চাইলেও আব্দুল মালিক তাতে সম্মতি হন নি। এনিয়ে গ্রামবাসী এবং আব্দুল মালিক গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ দেখা দেয়। গত দু দিন ধরে এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরুব্বিরা একটি শালিসের উদ্যোগ নেয়।
সোমবার রাতে পুলিশও যায় ঘটনাস্থলে। গ্রামবাসী শালিসের মত প্রকাশ করলেও আব্দুল মালিক ও জাকির মিয়া গংরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানানোর কথা বলে সময় নেন। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ওই গ্রামের রাব্বি মিয়া ও নাদিম মিয়া স্থানীয় বাজারে তাদের ব্যাবসায়িক দোকানে যাবার সময় তাদের পথরোধ করে মালিক, জাকির, আনোয়ার বাদশা, লিলু মিয়ার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একদল লোক তাদের উপর হামলা ও মারপিট করে তাদের কাছে থাকা নগদ কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে জানাযায়। এই খবর গ্রামে পৌঁছলে গ্রামবাসী ও আব্দুল মালিক গং দের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর