লালমনিরহাটের সাংবাদিকদের হেনস্থাকারী লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু'র শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজারের মুলফটকের সামনে দুই ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। এর আগে গত রোববার বক্তব্য চাইতে হেনস্তার শিকার হন তিন সাংবাদিক।

মানববন্ধনে অংশগ্রহন করা সাংবাদিকরা জানান, রেলওয়ের অ্যাটেনডেন্ট সোহেল রানা ও আব্দুর রব রাহাত গত ১৯ নভেম্বর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ বিনা রশিদে অর্থ আদায় করে তছরুপ করেন। এমন একটি ভিডিও যাত্রীরা ধারন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এই বিষয় বক্তব্য জানতে গত ১ ডিসেম্বর ঢা কাপোষ্টের লালমনিরহাট প্রতিনিধি নিয়াজ আহমেদ সিপনসহ ৩ জন সাংবাদিক লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু'র কার্যালয়ে যান। এসময় ওই কর্মকর্তা তেড়ে উঠে সাংবাদিকদের হেনস্তা করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। 

অপরদিকে এ ঘটনায় নিজের দায় এড়াতে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ তছরুপ করার দায়ে দুই অ্যাটেনডেন্টকে সাময়িক বরখাস্ত ও শোকজন করেন তাসরুজ্জামান বাবু। তবে সাংবাদিকদের হেনস্তা করা কর্মকর্তা তাসরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ফুঁসে উঠে জেলার সাংবাদিকরা। ওই কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে দুই ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। 

সিনিয়র সাংবাদিক গোকুল রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- য মুনা টিভির প্রতিনিধি আনিচুর রহমান লাডলা, মান বজমিন পত্রিকার মিলন পাটোয়ারী, বৈ শাখি টিভির তৌহিদুল ইসলাম লিটন, দেশ টিভির সাংবাদিক জামাল বাদশা, চ্যা নেল-২৪ এর মাহফুজ বকুল, ডি বিসি নিউজের হাসান, সাংবাদিক নেতা শরিফুল ইসলাম রতন, আদিতমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরহাদ আলম সুমন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদক তিতাস আলম, হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সম্পাদক নুরল হক, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সাগর প্রমুখ। 

এসময় লালমনিরহাটে কর্মরত শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কর্মকর্তার শাস্তির ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

মুনতাসির/সাএ