যারা সম্প্রীতি বিনষ্ট করে,সংঘাতে উস্কানি দেয় এবং মানুষের মধ্যে বিভেদ আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মুশফেকুর রহমান।
তিনি আরও বলেছেন,সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক আকাশ দাস কর্তৃক কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে এই ঘটনায় কেন্দ্র করে রাজধানীতে সৃষ্ট সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এ কথা গুলো বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরী শাখার মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাও আব্দুস সালাম আল মাদানী, উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ হারুন অর রশীদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার আব্দুল মানিক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল বারী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা আলতাফুর রহমান খসরু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মানিক মাস্টার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার কামাল উদ্দিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডা. হারিছ মিয়া, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য দিলোয়ার হোসেন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এরশাদুর রহমান মেম্বার, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আমজাদ হোসেন ও আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর)সন্ধায় দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের পুত্র আকাশ দাস (২২) নামে ওই যুবক পবিত্র কোরআন শরিফে পা-দিয়ে একটি ছবি সমাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ওই যুবকে আটক করে। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার জড় উঠলে রাতেই উপজেলা সদর ও দোয়ারাবাজার থানার আশপাশ ইসলাম প্রিয় জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর