পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম অজু। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। নামাজ ছাড়াও সবসময় অজু ও পবিত্র অবস্থায় থাকলে মন সতেজ থাকে। এর বিশেষ ফজিলতও রয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করো ও দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করো’। (সূরা মায়িদাহ, আয়াত, ৬)
শুধু নামাজ বা কোরআন তিলাওয়াত ছাড়াও সব সময় অজু অবস্থায় থাকার ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র অবস্থায় থাকা ব্যক্তিদের ভালোবাসেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তওবাকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত, ২২২)
অজুতে চারটি অঙ্গ ধুতে হয়। এই অঙ্গগুলো হলো, পুরো মুখ, দুই হাতের কনুই, মাথার চারভাগের এক ভাগ মাসাহ করা ও দুই পায়ের টাখনুসহ ধোয়া। এই অঙ্গগুলো একবার ধোয়া ফরজ এবং তিনবার ধোয়া সুন্নত বা মুস্তাহাব। একাধিক হাদিসে অজু করার সময় প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার ধুতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
যেমন একবার রাসূলুল্লাহ সা. অজুর অঙ্গগুলো তিন তিনবার ধোয়ার পর বলেন, এটা আমার অজু, আমার পূর্ববর্তী নবীদের অজু এবং আল্লাহর খলিল ইবরাহিম (আ.)-এর অজু। (ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ১/২৫৫)
অজুর সময় পূর্ণ চেহারা অর্থাৎ এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত এবং কপালের চুলের গোড়া থেকে থুতনি পর্যন্ত ধৌত করা ফরজ। চেহারার কোনো অংশ শুকনো থেকে গেলে অজু হবে না।
থুতনির নিচের অংশ চেহারার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই থুতনির নিচের অংশ অজুর সময় ধোয়া জরুরি নয়। থুতনির নিচের অংশ শুকনো থেকে গেলেও অজু হয়ে যাবে।
মুনতাসির/সাএ