সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইসকন নেতাকে গ্রেফতারের প্রভাব পড়েছ কলকাতার রাজনীতিতে। রাস্তায় নেমে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার এবং ভারতের মমতার সরকারকে তোপ দেখাচ্ছেন সেখানকার বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারী। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন বাংলাদেশে।
ক'দিন আগেই বলেছিলেন 'বাংলাদেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে'। আর গতকাল ফের বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি ‘ভালো’ করতে বাংলাদেশে পাঠানো হোক তাঁদের। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সিদ্দিকুল্লা বলেন, 'উভয় দেশের নাগরিক আদান-প্রদান, আলোচনা হোক। তা হলে পরিস্থিতিটা ভালো হবে। দরকারে আমাদের পাঠাক।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একদিন আগেই আবার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর