'জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আন্দোলনের সময় সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে মাঠে থেকেছেন। তাদের থেকে পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। যখন রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে ছিল তখন সাংবাদিকরা কলম সৈনিক হিসেবে আমাদের পাশে ছিলেন।'

বৃহস্পতিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট। 

তিনি বলেন, আমরা আমরা বিগত সরকারের আমলে মিডিয়া হস্তক্ষেপ বা কণ্ঠরোধ করার সংস্কৃতি দেখেছি। বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। আমরা ক্যাম্পাসগুলোতে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা চাই। সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে চাই। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো অংশ নই বরং প্রেশার গ্রুপ। আমরা প্রশাসনের ইতিবাচক কাজে সহায়তা করবো কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। প্রশাসনকে প্রেশার দিয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে কাজ করবো।

সমন্বয়ক এস এম সুইটের সভাপতিত্বে ও সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডলের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক তারিক সাইমুম ও সদস্য সচিব ফারহানা নওশীন তিতলীসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ,  ইসমাইল হোসেন রাহাতসহ অন্য সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।

শাকিল/সাএ