
রাজবাড়ীর পাংশায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে মামলার এজাহার নামীয় এক আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা রাতে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে বিলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এজাহার নামীয় ওই আসামি পাট্টা ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের শফি শেখের ছেলে সজীব শেখ (২৮)। সজীব আলোচিত সুমনকে মারধরের মামলার এজাহারনামীয় ২ নং আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শাহরিয়াসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য থানা এলাকার পাট্টা ইউনিয়নের বিলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি মারামারি মামলার এক আসামিকে ধরতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই আসামি পালানোর জন্য দৌড় দেয়। এ সময় পুলিশ আসামির পিছু নেয়। এক পর্যায়ে আসামি ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। ফায়ার করার পরে পুলিশ আর সামনে আগায়নি। আসামির কাছে যে অস্ত্র ছিল পুলিশ তা জানতো না। এখন পর্যন্ত ওই আসামিকে ধরতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে পাংশা মাডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কিছু বলতে রাজি হয়নি।
থানা সূত্রে জানা যায়, ১১/০৭/ ২০২৪ ইং তারিখে চাদার দাবিতে মামলার এজহার নামীয় আসামী সবুজ ও সজীব সুমনের বাড়ির ভিতর গিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আগ্নোস্ত্র প্রর্দশনী করে চাদা দাবি করে পরে চাদা না দেওয়ায় ১৮-৭-২০২৪ ইং তারিখ প্রকাশ্যে দিনের বেলায় পাট্টা বাজার এলাকায় বেধরক মারপিট করে গুরুত্ব আহত করে সেই সাথে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট-২০২৪ ইং তারিখে চাঁদা না পেয়ে ছেলেকে মারপিট করায় পাংশা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পাট্টা গ্রামের সুমনের পিতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা রুজু করে। পাংশা থানার মামলা নং-০৪ (৮) ২৪। সেই মামলার এজাহারে সজীব শেখ ২ নম্বর আসামি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০০৪ সালে পাংশা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানকে সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় গুলি করে মেরেছিল।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর