শেষ হতে চলেছে ঘটনাবহুল আরও একটি বছর। এই বছরেও স্মৃতিতে যুক্ত হয়েছে কিছু আনন্দ, উত্তেজনা ও বেদনার খবর। যুক্ত হয়েছে কিছু শোকের স্মৃতি। কিছু বিশেষ ব্যক্তির মৃত্যু করেছে হতবিহ্বল। এই তালিকায় আছেন দেশের প্রথম সারির আলেমরাও। এখানে ২০২৪ সালে ইন্তিকাল করা আলেমদের তালিকা তুলে ধরা হলো—
মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী
বছরের শুরুতে ইন্তেকাল করেন আলেম মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (৮২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ৮২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ।
তিনি গণভবন ও সচিবালয়ের সাবেক ইমাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষক ও সম্পাদক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীর জন্ম ১৯৪২ সালের ২৯ মে সিলেটের টুকেরগাঁওয়ে। তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকায় এসে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
মাওলানা আশেকে এলাহী
২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরুল মুদাররিসিন মাওলানা আশেকে এলাহী ইব্রাহীমী।
মাওলানা আশেকে এলাহি ইব্রাহীমী দেশের প্রবীণ আলেমদের একজন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষকতা করেছিলেন।
মাওলানা ক্বারী মুহাম্মাদ ইলিয়াস
দার্শনিক আলেম ও মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মাওলানা ক্বারী মুহাম্মাদ ইলিয়াস মানতেকি রহ. ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি।মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৫ বছর।
তিনি মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া ও দারুল মা‘আরিফ আল-ইসলামিয়া মাদরাসায় তাফসির ও ইসলামি দর্শনশাস্ত্র পড়িয়েছেন।
জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা লুৎফর রহমান
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খ্যাতনামা ইসলামি আলোচক মাওলানা লুৎফর রহমান ২০২৪ সালের ৪ মার্চ ইন্তেকাল করেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এই আলেম ব্যক্তিজীবনে ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক।
কর্মজীবনে তিনি রাজখালি আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।
হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ
২০২৪ সালে মৃত্যুর মিছিলে আরেকটি ধাক্বা ছিল দেশের জনপ্রিয় ইসলামি রিয়েলিটি শো পিএইচপি কোরআনের আলোর বিচারক ও কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফের মৃত্যু। তিনি ইন্তেকাল করেন ২৩ মার্চ ২০২৪। ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
জনপ্রিয় কোরআন প্রতিযোগিতার বিচারক হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ ১৯৮০ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। তার পিতার নাম আবুশ কাশেম এবং মাতার নাম ফাতেমা বেগম।
১৯৮৩ সালে পবিত্র কোরআনুল কারিম হিফজ সম্পন্ন করেন তিনি এবং ১৯৯৮ সালে ঢাকাস্থ মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন। বিএসটিআই জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে মাওলানা আবু ইউসুফের কর্মজীবনের সূচনা ঘটে এবং সেই ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি একই মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের মিডিয়ায় সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ ইসলামিক রিয়েলিটি শো হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কোরআনের আলো ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআই জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাওলানা সৈয়দ আব্দুন নূর
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর আলীয়া মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, প্রবীণ আলেমেদীন মাওলানা সৈয়দ আব্দুন নূর ইন্তেকাল করেছেন ২০২৪ সালের ১৩ রমজান (২৪ মার্চ)।
১৯৪১ সালে জন্ম নেয়া এই সংগ্রামী আলেম সিলেট আলীয়া মাদরাসা থেকে কামিল, ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় ইফতা বিভাগে পড়াশোনা করেন, তিনি কর্মজীবনে ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর আলিয়া মাদরাসায় ভাইস প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন অবসর গ্রহণ করেন।
উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর সাথে আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন, বর্তমানে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন, দাওয়াতি কাজে তিনি তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বিদের সাথে দেশ বিদেশে বার বার সফর করেছেন।
মাওলানা ছালামত উল্লাহ
২০২৪ সালের ৩ মে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন কক্সবাজারের রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালামত উল্লাহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৩ বছর।
মাওলানা ছালামত উল্লাহ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘির বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত নুর আহমদ। পৈত্রিক বাড়ি কক্সবাজারের কলাতলী হলেও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের সুবাদে তিনি রামুর দারিয়ারদিঘী গ্রামে গড়ে তুলেছিলেন আপন নিবাস।
তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা সহ-সুপার এবং ২০১৫ সাল থেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গওহরডাঙ্গা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক
২০২৪ সালের ২৮ মে ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি গওহরডাঙ্গা বোর্ডের মহাসচিব, তানজীমুল মুদাররিছিন বাংলাদেশের সভাপতি, এবং আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়ার স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বহু দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র ও ১৯৬৯ সালে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনায়ক মাওলানা হাতেম আলী
২০২৪ সালের ১৪ জুন ইন্তেকাল করেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনায়ক, প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা হাতেম আলী।
মাওলানা হাতেম আলী ব্যক্তিগত জীবনে শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর শাগরেদ ও হযরত হাফেজ্জি হুজুরের খলিফা ছিলেন।
প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা শায়েখ শারফুদ্দিন আবু তাওয়ামা রহ.-এর ইন্তেকালের ৭শ বছর পর তিনি সোনারগাঁওয়ে হাদিসের দরস পুনঃরায় চালু করেন।
ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ
ছারছীনা দরবার শরিফের পীর ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমির আলহাজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই। ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি।
তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।
মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব (আরজাবাদ মাদরাসা)
রাজধানীর প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট।
মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব ছিলেন চাঁদপুরের কারী ইবরাহিম রহ. এর নাতনির ছেলে (পুতি)। পাশাপাশি আরজাবাদ মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ. এর বড় জামাতা এবং বর্তমান মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়ার ভগ্নিপতি।
৯০ এর দশক থেকে তিনি জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসার খেদমতে নিযুক্ত হোন। এছাড়া তিনি রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় একটি মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
চরমোনাই পীরের বড় ভাই মাওলানা সৈয়দ মোমতাজুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও বর্তমান চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের বড় ভাই মাওলানা সৈয়দ মোমতাজুল করীম মোশকাত ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২৭ আগষ্ট।
মাওলানা আব্দুল খালিক (শায়েখে চাক্তা)
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত ১৩৫ বছরের গৌরব-ঐতিহ্যের দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুস সালাম ও দারুল হাদীস লাফনাউট মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালিক (শায়খে চাক্তা) ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
মাওলানা আব্দুল খালিক (শায়খে চাক্তা) ছিলেন উপমহাদেশের প্রবাদ পুরুষ, ফিদায়ে মিল্লাত, আওলাদে রাসুল মাওলানা সাইয়েদ আসআদ মাদানী রহ. এর খলিফা। শায়খে চাক্তা দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
মাওলানা মুহিবুল হক
চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন সিলেটের মাওলানা মুহিবুল হক। সিলেটের গোলাপগঞ্জে জুম্মার নামাজের খুতবা দেয়ার সময় মাওলানা মুহিবুল হকের মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারণে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইমামতি থেকে তিনি বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। জুম্মার নামাজের পরেই এলাকাবাসীর উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই যে তিনি চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে রবের কাছে ফিরে যান।
মাওলানা মুহিবুল হক কানাইঘাট পৌরসভার লালারচক গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গোলাপগঞ্জের সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর খোরাসানি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। প্রায় ১০ বছর ধরে ফাজিলপুর খোরাসানি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাওলানা মুহিবুল হক। এর আগে তিনি উপজেলার চৌঘরী জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
মাওলানা আবুল কাশেম
একটি দুঃখজনক ঘটনা ছিল মাওলানা আবুল কাশেমের মৃত্যু। তিনি মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ভিমড়ুলের কামড়ে মেয়েসহ নিহত হন। তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন দূধনই বাজার জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম (লালবাগ মাদরাসা)
৭৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন ঢাকার জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ এর শুরা সদস্য, প্রবীণ মুহাদ্দিস, প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী
নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর।
মাওলানা আব্দুল আলিম
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তানজিমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল আলিম ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর।
মুফতি আব্দুল গনী আল গাজী
রাজধানী ঢাকার ইসলামবাগ মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর প্রথম দিকের খলিফা আল্লামা মুফতী আব্দুল গনী আল গাজী (গাজী সাহেব হুজুর) ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মাওলানা আব্দুল হান্নান
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার শত বছরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান (৬৯) ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর।
মাওলানা আব্দুল হান্নান বৃহত্তর নোয়াখালী লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার শত বছরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদরাসার মুহতামিম (পরিচালক), শাইখুল হাদীস এবং লক্ষ্মীপুর জেলা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৪৫ বছরের শিক্ষকতার বয়সে তিনি চাঁদপুরের উজানী মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস ছিলেন। প্রবীণ এ আলেম তৈরি করেছেন অসংখ্য আলেম ওলামা ও মুফতি মুহাদ্দিস।
মাওলানা সোয়াইব
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ইন্তেকাল করেন মাওলানা সোয়াইব ইন্তেকাল করেন। ২০২৪ সালেরও ১৮ নভেম্বর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষক মাওলানা সোয়াইব এগারো মাইল এলাকার শাহ ওয়ালীউল্লাহ হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন।
মাওলানা নেছার আহম্মদ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চরতী গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শিক্ষাবিদ মাওলানা নেছার আহম্মদ ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মরহুম নেছার আহম্মদ সাতকানিয়া দুরদুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাম্মণডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তুলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক স্কুলে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন।
আল্লামা মনসুরুল হাসান রায়পুরী
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশের) সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা মনসুরুল হাসান রায়পুরী ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর।
মাওলানা মোবারক করিম জওহর
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, বহু গ্রন্থ প্রণেতা ও পবিত্র কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদক মাওলানা মোবারক করিম জওহর ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
মোবারক করিম জওহর বহু গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। একাধিক সমাজসেবামূলক সংস্থার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সারা জীবন দ্বীনের প্রচার কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। মোবারক করিম জওহরের সম্পাদিত কুরআন শরিফের বাংলা তরজমা প্রথম প্রকাশ হয় কলেজস্ট্রিট হরফ প্রকাশনী থেকে। এ অনুবাদটি লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয় হরফ প্রকাশনি থেকে।
মাওলানা আবু আহমদ (হাটহাজারী মাদরাসা)
চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু আহমদ ইন্তেকাল করেন ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর । মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর