• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১২ মিনিট পূর্বে
মাসুদ রেজা শিশির
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৪৪ দুপুর
bd24live style=

সরকারি চাকুরির সুবাদে একাধিক বিয়ে, অতঃপর কারাগারে

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

করেন সরকারি চাকুরী কৃষি ব্যাংকের লোন অফিসার পরিচয় দেন কৃষি ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা, এই সোনার হরিণ নামক সরকারি চাকুরী হাতিয়ার বানিয়ে প্রথমে আলাপন অতঃপর প্রেম এর পর বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ীর লোকদের থেকে নানা বাহানায় মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা বাহানা পরে তা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াই এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্কের জের ধরে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার ঘটনার পরও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। ৫ আগস্টের পূর্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে সু সর্ম্পক থাকায় ধরাকে সরা করতেও দ্বিধাবোধ করেনি তিনি বলছিলাম রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের মৃত মোতালেব প্রামাণিকের ছেলে লালন প্রামাণিকের কথা। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বাউফল শাখার সেকেন্ড অফিসার অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

লালন প্রামানিক একই উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে প্রথমত বিয়ে করেন মোরশেধ আলমের মেয়েকে সেখানে কিছুদিন সংসার করার পর ১০ লক্ষ টাকা ধার হিসাবে গ্রহণ করেন তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পরে সে টাকা চাইলে শুরু হয় তার প্রতারণা, নানা বাহানায় স্ত্রীকে দিয়ে পুনরায় আরো টাকার চাপ দেওয়া হয় পরে বাধ্য হয়ে তারা ডিভোর্স পর্যায়ে গড়ায় তবে ওই ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় রাজবাড়ীর আদালতে লালন প্রামাণিকের নামে মামলা দায়ের করেছে সাবেক শ্বশুর মোরশেদ আলম। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার কিছুদিন পরই তার নতুন টার্গেটে পরিণীত হয় একই উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুঃন্দিয়া গ্রামের কৃষক পরিবারের মুন্নাফ মিয়ার মেয়ে রীতা খাতুন- রীতা খাতুন বলেন আমার ২০২৪ সালের প্রথম দিকে লালন প্রামাণিকের সাথে আমার পরিচয় এর পর থেকে নিয়মিত কথা হয় তার সাথে এক সময় আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, বিয়ের আগে সে আমার পরিবারের নিকট থেকে জরুরি প্রয়োজনে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন আমরা সরল মনে তা দিয়েছি আমার স্বামী হবে এ জন্য আমার পিতার গচ্ছিত টাকা পরে আমার মা আশা এনজিও থেকে লোন করে আরো ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়েছে- প্রথম বিয়ে গোপন করে ২০০২৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ৮ লক্ষ টাকা কাবিন করে আমাদের বিয়ে হয়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নানা বাহানা শুরু করে এবং টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে, এক পর্যায়ে আমার পিতার নিকট জমির দলির চান যে আমি ব্যাংক থেকে লোক করব এ কথা বলায় আমাদের মধ্যে বিষয়টি খটকা লাগে পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে মাছপাড়াতে একটি বিয়ে করেছিল তাদের পরিবার থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্ম্পক শেষ করে একন সে মামলায় লড়ছে, এ বিষয়টি আমাদের নিকট গোপন করেছিল বর্তমানে আমাকে নিয়ে নান মিথ্যা কথা ছড়িয়ে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার পাঁয়তারা করছে আমার প্রতারক স্বামী।

আমার জীবনটা নষ্ট করে আমার বাবাকে পথের ভিখারি করতে সে নানা বুদ্ধি খাটিয়ে তৎকালীন সময়ে পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজবীর হাসান সিসিলদের ভয় দেখিয়ে আমাদের উপর খবর দারী করেছে। ৮ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হলেও পরে কৌশলে কাজীর দিয়ে তা কিভাবে ২ লক্ষ টাকা করেছে তা আমাদের জানা নেই এ নিয়ে তার সাথে মন মালিন্য হলে সে নানাভাবে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছে এ ঘটনার সঠিক বিচার কামনা করছি। এ বিয়েতে মধ্যস্ততাকারী বাবুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোস্তফা বলেন- বিষয়টা দুঃখজনক সরকারি চাকুরির দোহায় দিয়ে এমন অপকর্ম তা সত্যিই খারাপ লাগছে রীতাদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য।

এ ব্যাপারে রীতার পিতা মোঃ মুন্নাফ মিয়া বলেন-আমার মেয়েকে ধ্বংস করে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে লালন প্রামানিক আমি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি মেয়ের সুখের কথা ভেবে টাকা দিয়েছিলাম আমার আমার আজ করুণ অবস্থা, কোথায় এর সঠিক বিচার পাব আমার জানা নেই।

স্থানীয়রা বলেন লালন প্রামানিক বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেছেন কোথায় সে টিকতে পারেনি, পাংশা চাঁদপুর, খালকুলা, বাবুপাড়ায় সে বসবাস করলেও স্থানীয়রা তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করে না বলেও জানান।

এ ব্যাপারে লালন প্রামাণিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- নিউজ করে কি লাভ? আমার বিভিন্ন জায়গায় বিসিএস ক্যাডার বন্ধু বড় ভাইরা রয়েছে।

নিউজ না করা ভালো হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার সাথে রীতার পরিবার তথ্য গোপন করে তাকে বিয়ে দিয়েছে তার আগে একটা বিয়ে হয়েছিল তা আমাকে বলেনি। অপরদিকে আগের বিয়ের বিষয়টা উভয় পক্ষের সমঝোতায় ডির্ভোস হয়েছে। তারা যে মামলা করছে তা মিথ্যা।

এ ঘটনায় রীতা খাতুন বাদি হয়ে পাংশা থানায় যৌতুক আইনে মামলা করে। সে মালার এজহার নামীয় ০১ নং আসামী  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই আই মোঃ তারিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল থেকে লালন প্রমানিককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।  

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com