
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সন্ত্রাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধ ও ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা ও লুটপাটের বিরুদ্ধে বিশাল হোন্ডা মিছিল ও পথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ইত্তেহাদুল উলামা ওয়াল হুফ্ফাজ নাগরপুর ও তৌহিদী জনতার যৌথ উদ্যোগে নাগরপুর সরকারি কলেজ গেট হতে এক বিশাল মটর সাইকেল বহর নিয়ে সদর, সহবতপুর, ভারড়া, গয়হাটা, সলিমাবাদ, ধুবুরিয়া, ভাদ্রা, মামুদনগর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পথসভায় বক্তব্য দেন, নাগরপুর বাজার জামে মসজিদ খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম, নাগরপুর থানা জামে মসজিদ ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুস সামাদ, সুদাম পাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইত্তেহাদুল উলামা ওয়াল হুফ্ফাজ নাগরপুর জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা আল হেলাল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে ইসকন। চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ইসকন দ্রুত নিষিদ্ধসহ আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন ইসকনকে উগ্রবাদী সংগঠন আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে এর সব কার্যক্রম বন্ধসহ ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা ও লুটপাটের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ইসকন ফ্যাসিবাদের দোসর। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ইসকনের কার্যক্রম দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করছে। সংগঠনটি নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা শান্তির জন্য বড় হুমকি। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির পাহারা দিয়েছি। আমরা হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়, জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ইসকন’ আর সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নয়। আমরা এ উগ্রবাদী সংগঠনের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছি। হিন্দু ভাই-বোনদেরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য জঙ্গি সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করছি। ডা.এম.এ.মান্নান, সাংবাদিক মুফতী শহিদুল ইসলাম, মুফতী সাদিক, মুফতী জাকির, হাফেজ রজব, হাফেজ আবু হুরাইয়াসহ শতাধিক আলেম, ছাত্র-জনতা ও মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর