চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম আদালত) জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আজ সোমবার নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিকালে আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে তিনিসহ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানিকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা আসামিদের মধ্যে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই হত্যাচেষ্টার মামলায় কামরুল ইসলামককে, মতিঝিল থানার মামলায় রাশেদ খান মেননকে, চকবাজার থানার মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মশিউর রহমানকে এবং উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করার পর কামরুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী জামিন বিষয়ে শুনানি করতে চান। তখন আদালত বলেন, জামিন শুনানি আমলি আদালতে করবেন। এ সময় কামরুল ইসলাম তার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই আদালতে জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই।’
এরপর আবার তার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের আরেকটা দরখাস্ত আছে। কামরুল ইসলাম তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চান। আপনি যদি একটু অনুমতি দেন।’
এ সময় আদালতকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে ডাক্তার। তার সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন।’ তখন আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলেন জানান।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর