সাবেক রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্বাচনের সময়কার পরিস্থিতি শুনছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশ কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলেও মতামত দিয়েছে এসব কর্মকর্তারা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সংসদ সচিবালয়ে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড.বদিউল আলম মজুমদার।
বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন,কেউ রিটার্নিং অফিসার কেউ সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সিনিয়র সহকারী সচিব, এমনকি সাবেক একজন নির্বাচন কমিশন সচিব ও উপস্থিত ছিলেন। উনারা ওনাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। উনারা বলেছেন উনাদের তেমন কিছু করার ছিল না। কল কব্জা অন্য জায়গা থেকে নাড়ানো হয়েছে। এক অর্থে বলতে গেলে উনারা অসহায় ছিলেন। তবে যারা নিচের কর্মকর্তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মূল কথা বলেছেন আমাদের একটি পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছিল। পুলিশি রাষ্ট্র হওয়ার কারণে এমন নির্বাচন হয়েছে এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কোন কথা শুনেনি।
তিনি বলেন,তারা আরো বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশ কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এর কোন বিকল্প নেই। তারা বলেছেন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করতে প্রস্তুত নই। তার মানে নির্বাচনের সময় একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার থাকতে হবে। তা না হলে কিন্তু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সকল আন্ত:বাহিনীর কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে কো অপারেশনের জন্য আরো শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
তিনি বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য কমানো, প্রার্থীর যোগ্যতা, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের কথা উঠলে তারা বলেছেন, হলফনামা আরো ভালোভাবে যাচাই করা যাবে তবে এর সঙ্গে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কোলাবোরেশন থাকতে হবে। তারা যে অর্থের তথ্য দিচ্ছে তা কোলাবা রেট করার জন্য। তফশিল থেকে পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সময়টি কম এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বলেছি আমরা এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সদস্য ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-মূলত এ তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এসব কর্মকর্তা। আমরা তাদের ভোটের সময়কার সিসুয়েশন, কি অসুবিধা হয়-এসব জেনেছে। তারা বিভিন্ন সিচুয়েশন ব্যাখ্যা করলেন। এদের মধ্যে অনেকে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরে সচিবও হয়েছেন এমন কর্মকর্তা ছিলেন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ধারাবাহিকভাবে সব শ্রেণী পেশার নাগরিকদের মতামত নিচ্ছে। এখন বিভাগীয় পর্যায়েও মতামত নেওয়ার কাজ চলছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর