মাতৃভূমির সুরক্ষা ও অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য একটি দেশের সামরিক শক্তি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। সে তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছর কোন কোন দেশ ছিল সামরিক শক্তির শীর্ষে?
সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের এবারের তৈরি করা তালিকায় সর্বমোট ১৪৫টি দেশ স্থান পায়। এসব দেশের সামরিক শক্তির ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে র্যাংকিং করে উল্লেখ করা হয় দেশের নাম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা শঙ্কা করছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোন দেশগুলো সামরিক শক্তির শীর্ষে অবস্থান করছে, অনেকের মনেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছর সামরিক শক্তিতে শীর্ষ দেশ হিসেবে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সবার শেষে ১৪৫ নাম্বার দেশ হিসেবে তালিকায় নাম ছিল ভুটানের।
আসুন র্যাংকিং অনুযায়ী জেনে নিই, শীর্ষে থাকা ২৫টি সামরিক শক্তিশালী দেশের নাম-
১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২। রাশিয়া ৩। চীন ৪। ভারত ৫। দক্ষিণ কোরিয়া ৬। মার্কিন যুক্তরাজ্য ৭। জাপান ৮। তুরষ্ক ৯। পাকিস্তান ১০। ইতালি
১১। ফ্রান্স ১২। ব্রাজিল ১৩। ইন্দোনেশিয়া ১৪। ইরান ১৫। মিশর ১৬। অস্ট্রেলিয়া ১৭। ইসরায়েল ১৮। ইউক্রেন ১৯। জার্মানি ২০। স্পেন
২১। পোল্যান্ড ২২। ভিয়েতনাম ২৩। সৌদি আরব ২৪। তাইওয়ান ২৫। থাইল্যান্ড।
উল্লেখ্য, সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছর সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম।
বাংলাদেশের কাছে মোট ২১৬টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমান আছে ৪৪টি। ৭৩টি হেলিকপ্টার আছে। মোট এয়ারক্রাফটের নিরিখে বিশ্বে ৪৬ নম্বর, যুদ্ধবিমানের নিরিখে বিশ্বে ৩৯ নম্বর এবং হেলিকপ্টারের নিরিখে ৪৯ নম্বর স্থানে আছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বাংলাদেশের হাতে। ২৭টি সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে। রকেট আর্টিলারির সংখ্যা হল ৭১। সাবমেরিনের সংখ্যা হল দুটি। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাতটি। ৫৫টি প্যাট্রলিং ভেসেল আছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
অন্যান্য... এর সর্বশেষ খবর