ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বিএনপি নেতা হুমায়ুন বাবর ফিরোজ এর ইন্ধনে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক আব্দুর রহমান মিল্টনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হুমায়ুন বাবর শৈলকূপা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক। শৈলকূপা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মিল্টনের ওপর হামলার ঘটনায় শৈলকূপা থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় শৈলকূপা নতুন বাজার এলাকায় বিএনপির পার্টি অফিসের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। এতে সাংবাদিক মিল্টন দুই পা, হাঁটু, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ হামলার ঘটনায় আহত সাংবাদিক মিল্টন তার অভিযোগে জানান, গত ২৫ নভেম্বর উপজেলার পৌর এলাকার ফাজিলপুরের নিজ দোকান থেকে মানিক নামে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবার ৩-৪ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকূপা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সেই সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশের জের ধরে বিএনপি নেতা ফিরোজের অনুসারী সাহেব খাঁন, রাকিবুল হাসান নয়নসহ একদল দুর্বৃত্ত এমন নৃশংস হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই শৈলকূপা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ আমাকে প্রকাশ্যে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছুদিন আগে শতাধিক লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির পাশে একটি জমিজবর দখল করতে আসে। সেখানে বাঁধা দিলে তিনি আমার হাত পা ভেঙে দেয়াড় হুমকিও দেন। তিনি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসী সাহেব খাঁনসহ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হুমায়ুন বাবর ফিরোজ বলেন, সাংবাদিক মিল্টনের সাথে আমার কখনো কথায় হয়নি। বরং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাংবাদিক মিল্টনের লোকজন আমার এক আঁতœীয়ের জমি দখলে রেখেছিলো।
এছাড়াও তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ঝিনাইদহ পরিক্রমা নামে একটি অনলাইনে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শৈলকূপা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর