সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’। পরবর্তীতে এই টকশো বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর রেশ না কাটতেই আবারো সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে বাংলা সংবাদপত্রটি। এবার দেশের অন্যতম সমালোচিত নায়ক এবং হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে তাদের ডিজিটাল টিমে যুক্ত করেছেন তারা। যা নিয়ে চলছে দেশের সকল স্যোসাল মিডিয়া ও গনমাধ্যমে আলোচনা- সমালোচনা।এমনকি ফেসবুকে আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য।জয়নাল আবেদিন ফেসবুকে লিখেছেন,' ডিগবীজির অভিজ্ঞতায় কি কি চাকরী পাওয়া যায় ??'আহমেদ আবির লিখেছেন,'পল্টিবাজের বরিশাইল্লা সুরে উপস্থাপনা দেখতে পাবে এবার আমেরিকা।' ফিরোজ আলম লিখেছেন, 'সে এখন আমাদের মত রেমিটেন্স যোদ্ধ'।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জায়েদ খান নিজেই। তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে ঠিকানা দেশের জন্য কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন ভাই’ও জড়িত আছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারব, বিষয়টি আমার জন্যই আনন্দের।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘প্রথমবার দর্শক আমাকে উপস্থাপক হিসেবে দেখবেন। বিষয়টি ভেবেও আমি খুব এক্সাইটেড, একইসঙ্গে নার্ভাসও। দর্শক কীভাবে আমাকে গ্রহণ করে সেটি দেখার অপেক্ষায়।’
এর আগে গত (৬ নভেম্বর) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুক পেজে দেওয়া সেই পোস্টে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।’
এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর