সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে জোর সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে। তারা গোলান বাফার জোনকে 'সাময়িকভাবে' নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি দল দামেস্কের ২৫ কিলোমিটার কাছে পৌঁছে গেছে, তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এই খবর অস্বীকার করেছে।
আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য 'ঐতিহাসিক দিন', তবে তিনি সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা ইসরায়েলের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তাদের দিকে শান্তির হাত বাড়ানো হবে, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েল যা প্রয়োজন তা করবে।
আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান সিরিয়ার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে, এবং এর পরিণতি নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।
বাশার আল-আসাদ সরকারের জন্য ইরান এবং হেজবুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর গাজা যুদ্ধের সূচনা হয়, যা লেবাননে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর প্রভাব পড়ে আসাদের সহযোগী হেজবুল্লাহর ওপর। এই লড়াইয়ের মধ্যে হেজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন।
বছরব্যাপী চলমান সংঘর্ষের পর, ২৭শে নভেম্বর হেজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই পরিস্থিতিতে, হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠী বিস্ময়করভাবে হামলা চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে নেয়। এর মাত্র ১২ দিনের মধ্যে সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা ও দেশ ছাড়তে হয়।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর