বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—বাংলাদেশ থেকে ভারতের আগরতলার সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছে। এই লংমার্চের উদ্দেশ্য হলো ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান জানানো। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া এই লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি ভারতের রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাংলাদেশের ওপর কথিত বৈষম্যমূলক নীতির কড়া সমালোচনা করেন।
লংমার্চের পথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, এবং তারেক রহমানের ছবি বহন করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার স্বার্থে জনগণের ঐক্যবদ্ধতার বার্তা দেওয়া হয়।লংমার্চটি নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থানে পথসভা করছে, যেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
অংশগ্রহণকারীদের হাতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগানযুক্ত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে, যেখানে পূর্বে নিহতদের নাম উল্লেখ রয়েছে। রিজভী আহমদ বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও বাংলাদেশকে তারা তাদের শাসনের অধীন রাখতে চায়, যা আমরা কখনো মেনে নেব না।”
এই লংমার্চ ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত, যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে ।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর