নিখোঁজের ১৪ দিন পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অটো চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত মরদেহটি পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর এলাকার অটোরিকশা চালক সায়মন মিয়া (১৭) এর বলে জানা গেছে।
সায়মন মুরাদনগর উপজেলার খামারবাড়ি গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে। পেশায় অটোরিকশা চালক সায়মন কৃষ্ণনগর ঘোড়ামারা এলাকায় ফয়েজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।
জানা যায়, বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ২নং উত্তর দুর্গাপুর ইউপি এলাকার আলেখারচর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশের একটি ডোবায় হাত পা বাঁধা কম্বল মোড়ানো স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। অজ্ঞাত মরদেহের খবর পেয়ে নিখোঁজ সায়মনের মা লায়লা আক্তার ঘটনাস্থলে এসে চুল ও পড়নের পোশাক দেখে মরদেহটি তার ছেলের বলে লাশ শনাক্ত করেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গত ২৭ নভেম্বর ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা নিয়ে প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে থেকে বের হয় সায়মন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। বহু খোঁজা খুঁজির পর কোথাও না পেয়ে গত ২৮ নভেম্বর সায়মনের নিখোঁজের বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এমন প্রশ্নে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু বলতে চান না। তবে তিনি জানান তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের মা লায়লা আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রজু করেছেন।
উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ইতোমধ্যেই মামলার তদন্ত কাজ শুরু করছেন। আশা করি তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর