স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আপসহীন আমরা আপসহীন। আমাদের কাছে বাংলাদেশ ফাস্ট,বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি আমরা কারো রক্তচক্ষু ভয় করিনা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার ভবনে হামলা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ শেষে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্না আরোও বলেন বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত স্বাধীনচেতা জাতি, এই দেশের জনগণের অপরিসীম সাহস,আমরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যে কোন চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেই উন্নাসিকতা দেখাচ্ছে একটি রাষ্ট্রের হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ওই দেশের। সেখানে ভারতীয় রাষ্ট্র সরকার কর্তৃপক্ষ সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। জেনেবা কনভেনশন অনুযায়ী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের তারা সেই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি তীব্রভাবে এই অবহেলা এবং এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
বাংলাদেশকে আপনারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের বাহিরে আমাদের কোন প্রভু নেই, আমরা বন্ধু হিসেবে প্রতিবেশীকে চিন্তা করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে।আমরা বাংলাদেশের অখণ্ড স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আপসহীন।
আমরা ভারতকে একটি বার্তা দিতে চাই আপনারা আমাদের প্রতি যে ধরনের বিগত সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারকে আপনারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন।এখনও এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা আপনাদের দেশে অবস্থান করছে?
অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আহ্বান করছি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানায় আপনারা ভারত সরকার কে বলেন শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই দেশের প্রচলিত আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই আগস্টে দুই হাজার শহীদ হয়েছে তাদের হত্যার বিচার করতে হবে। এরমধ্যে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি শহীদের হত্যার বিচার চাই। ভারতে সকল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
আমি ইনশাআল্লাহ বিএনপি'র সহযোগী সংগঠন যুবদলের সভাপতি হিসেবে বলতে চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমরা আপোষহীন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যে কোন চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেই উন্নাসিকতা দেখাচ্ছে সেইজন্য ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছি।
একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা পেয়েছিলাম এই স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে অপরিসীম সাহসিকতার সাথে রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অনস্বীকার্য অবদান রেখেছিলেন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে তিনি পরিচালনা করে গেছেন। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি এবং বিএনপি'র কর্মী হিসেবে আজকে লংমার্চ করেছি।
লংমার্চ পরবর্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। বক্তব্য রাখেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ জেলা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর