কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা দেশ। কমতে শুরু করেছে বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহজুড়ে তো বটেই, মাসজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত চলতে পারে। আর এবার শীত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হবে বলেও মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার থেকে সপ্তাহজুড়ে শীত বাড়তে পারে। দুই দিনের মাথায় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘ভারতের দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ধরে কুয়াশার এই দীর্ঘ বলয়। শীতে এমনটাই থাকে। দিন যত বাড়বে, কুয়াশার পরিমাণ তত বাড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়াশার সঙ্গে বায়ুদূষণের একটি সম্পর্ক আছে। আন্তসীমান্ত দূষণের সঙ্গে আমাদের স্থানীয় উৎসগুলো মিলিয়ে দূষণ বাড়িয়ে তোলে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় শীত কিছুটা বেশি হতে পারে।’
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছাকাছি চলে গেছে। কিন্তু এর প্রভাবে সাগরে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে। তা উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে হিমালয় পেরিয়ে ভারতের বিহার হয়ে আসা শীতল বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। শীতল বায়ু আর উপকূল থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস মিলে ভারী কুয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই কুয়াশা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারী কুয়াশার কারণে দিনে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি গেছে বেড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর