ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সার্বিক পরিবহন শ্রমিককে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মদিনা টাওয়ারের সামনের সড়কে ভাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) সাইদুল হক মিঠু শিকদারের নেতৃত্বে ৫/৭ জন যুবক লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত আয়নাল বেপারীকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আয়নাল ব্যাপারী মাদারীপুরের সার্বিক পরিবহের চেকার ও মাদারীপুর সদরের আব্দুল খালেক বেপারীর ছেলে।
হামলাকারীরা হলো- ভাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃতকৃত) সাইদুল হক মিঠু শিকদার, প্রিন্স মুন্সি, ওসমান গনি আকাশ (সমন্বয়ক), শওকত শিকদার সোহেল, ইয়ামুন ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন।
এ ব্যাপারে সার্বিক পরিবহনের চেকার আয়নাল বেপারী জানান, আমার সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। তাদেরকে আমি ভালো করে চিনিও না। তারা একটি ভ্যান থেকে নেমে আমাকে বলে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সার্বিক কাউন্টার দিস না কেন। এ কথা বলেই মিঠুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক লাঠি দিয়ে আমাকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আমি ভাঙ্গা থানায় বিষয়টি অবগত করি। পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি। আমার অবস্থা খুবই খারাপ। আমার হৃদ্রোগ রয়েছে। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে সার্বিক পরিবহনের আরেক চেকার রেজাউল শরীফ জানান, গত আগস্ট মাসে মিঠু শিকদার আমার কাছে ভাঙ্গায় সার্বিক কাউন্টার চায়। আমি তাদেরকে বলেছি, কাউন্টার দেওয়ার মালিক আমি না। আপনারা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজকে এসে তারা হঠাৎ আমার চেকার আয়নাল বেপারীকে অমানবিক মারধর করেছে। আমরা শ্রমিক আমাদের কেন মারা হলো, এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নুর মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বক্তব্য শুনেছি। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর