কবি হেলাল, পঙক্তিতে বুনন করেছেন প্রেম ও দ্রোহের কবিতা, ছড়িয়েছেন ভালবাসা আর প্রেমের ছন্দ। দেশীয় সাহিত্য জগতের প্রয়াত প্রেমের এই কবি সারাজীবনই থেকেছেন অবিবাহিত রয়ে গেলেন চিরকুমার। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, একাকিত্বে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। সারাজীবন থাকতে চেয়েছেন এই লেখালেখি নিয়েই।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলা অ্যাকাডেমির নজরুল মঞ্চ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে সাংবাদিকদের নিজের চাচার একাকিত্ব জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা জানান কবির ছোট ভাইয়ের মেয়ে বিপাশা সুলতানা।
বিপাশা বলেন, এক সপ্তাহে হয়েছে তার সঙ্গে কথা হয়েছে তখন তিনি জানান তার শ্বাসকষ্ট। আমি বললাম, আমি ঢাকা আসি তারপর ডাক্তার দেখাবো।
তখন তিনি জানান, এক সপ্তাহ দেখি তারপর আমাদের জানাবেন। পরিবার সবসময় চেষ্টা করেছে তার পাশে থাকার কিন্তু তিনি নিজ থেকেই সরে এসেছেন। একাকিত্ব থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। শেষ সময়ে, আমাদের কথা ছিল তিনি আমাদের কাছে আসবেন কিন্তু সেই কথাটি আর রাখা হলো না।
এর আগে সকাল ১০ টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবি হেলাল হাফিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে কবির আত্মীয়-স্বজন ও ভক্ত-অনুরাগীসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। বাদ জোহর কবির দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর