ওমরাহ শেষে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর গ্রেপ্তার হলেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন অপু।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, নাসির উদ্দিন অপু সোনাগাজী পৌর যুবলীগের সভাপতি। ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি কৌশলে ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব পাড়ি জমান।
তার গ্রেপ্তারের খবর জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকে তারা নানাবিধ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে শাস্তি দাবি করে পোস্ট করেছেন। এমনকি আওয়ামীলীগ সমর্থকরাও তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
তবে যুবলীগ নেতা অপুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওমরা পালনের সময় সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সৌদিআরবের রিয়াদে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য দেশে ফেরার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংশাবসত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি কোন ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না।
এদিকে একই দিন সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সাহাভিকারী এলাকার চাঁন মিয়ার দোকান থেকে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন্দ জানিয়েছে ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের বরাতে জলিল গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয়রা জানায় জলিল মতিগঞ্জ ভূমি অফিসের তালিকাভুক্ত দলিল লেখক ও ইসলামী ব্যাংক জমাদার বাজার এজেন্ট ব্যাংক শাখার কর্ণধার। ২০১৮ সাল পরবর্তী তিনি রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ব্যবসা ও দলিল লেখকের কাজে মনোনিবেশ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও এলাকায় অবস্থান করে ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধে অতীত রাজনীতির বিষয়টি সামনে এনে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় করা দুটি মামলায় নাসির উদ্দিন অপু এজাহারনামীয় আসামি। তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায়ও একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর