ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে মন্তব্য করে বলেছেন,“আমাদের সামনে যে যাত্রা, সেটির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে এই ঐক্যমতকে ধরে রাখা। চড়াই-উতরাই আছে, কিন্তু বড় দাগে মানুষের মধ্যে বিজয় একটি আকাঙ্ক্ষা, গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ একটি আকাঙ্ক্ষা। আমি আশাবাদী।”
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা ৪০ এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “নতুন বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের সম্ভাবনা আমাদের সামনে এখন আছে। সেটি করতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যমতের দরকার।যার-যার দায়িত্ব যেটি পালন করছেন, আন্তরিকতার সাথে পালন করা প্রয়োজন।”
ঢাবি উপাচার্য বলেন, “আমাদের শহীদদের যে চরম আত্মত্যাগ সেটি স্মরণ করে, যে পরম্পরা আমাদের আছে ৫২, ৬৮, ৭১, ৯০ এবং আমাদের ২৪ এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে জাতির সবচাইতে ক্রান্তিলগ্নে ছাত্র-জনতা উঠে দাঁড়িয়েছে। এবং জাতিকে রক্ষা করার জন্য বৃহত্তর ঐক্যমত তারা তৈরি করতে পেরেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ বিনির্মাণে ন্যায়বিচারের প্রস্তুতি নিতে হবে। ন্যায়বিচারের জন্য যে পক্ষই জড়িত থাকবে, প্রক্রিয়া চালিয়ে নেওয়ার দরকার আছে। যতটুকু হয়েছে, যেহেতু আমরা সামনে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, অতএব যার-যার পর্যায় থেকে ন্যায়বিচার কায়েমের যে পূর্বশর্ত ধীরে-ধীরে আমরা সেই পথেই এগুচ্ছি।
ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে কী করা যেতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ-ছাত্র জনতা যথেষ্ট সচেতন। ইতিহাস পাল্টানোর চেষ্টা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বহুবার বাংলাদেশে হয়েছে। ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রকৃত যে ইতিহাস, সেটি জানবার আগ্রহ থেকে গেছে।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আজকে আমাদের স্মৃতিসৌধে লক্ষ-জনতা সমবেত হয়েছে, তারা ইতিহাস জানতে চায়। এবং ইতিহাসের প্রতি তাদের যে গভীর মমত্ব আছে, এই এলাকায় এলে প্রথম কথা যেটি মনে হয়, বাঙালি হিসেবে যে চরম আত্মত্যাগ আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের জন্য করেছে, তার ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন।
এসময় ঢাবি প্রক্টর, কোষাধাক্ষ্য সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর