• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০৯ দুপুর
bd24live style=

উসকানি দিলেই ১০ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনায় কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী।

মোবাইল ফোনে চার্জে দেওয়া নিয়ে দুই যুবকের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে দুইদিন কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিনভর দুইপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো থানা সদর এলাকা। পরে বেলা ২টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার মুরব্বী, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে একটি সালিশ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুই পক্ষকে নিয়ে বিচারের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে। তবে সালিশ বৈঠকের আগে এ ঘটনায় আর কেউ উসকানি দিলে এবং যদি তা প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই পক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে দুই পক্ষই শান্ত রয়েছে।

সালিশ কমিটিতে রয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল  মিয়া, কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানরা।

তেলিখাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া বলেন, সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করি। ৫০ লাখ টাকা করে জামানত রেখে দুইপক্ষই  বৈঠকে রাজি হয়েছে। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তারা সুস্থ হলে সালিশ বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হবে।

তিনি বলেন, আপাতত দুইপক্ষই শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষের কেউ ফেসবুকসহ কোনোভাবে উসকানি দিয়ে ফের সংঘর্ষ বাধালে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ণি এলাকার মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে ও শ্রমিকদলের কর্মী বাবুল মিয়া (৩০) থানাবাজারে কাঠালবাড়ি এলাকার এক যুবকের দোকানে তার মুঠোফোন চার্জে দেন। কিছু সময় পরে তিনি সেটি আনতে গেলে ওই দোকানদার মুঠোফোন চার্জে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় কাঠালবাড়ি এলাকার লোকজনও বাবুল মিয়াকে মারধর করেন।

সূত্র জানায়, মারামারি দেখে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের সাবেক এক ইউপি সদস্যের ভাই এগিয়ে এলে তিনি আহত হন। পরে বর্নি, কাঠালবাড়ি ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকার লোকজনের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বর্ণি ও কোম্পানীগঞ্জের লোকজন একপক্ষ হয়ে কাঠালবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

শনিবার রাত ৯টা পর্য়ন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলে এতে আহত হয়ে অন্তত ২০ জন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ ঘটনার জেরে রোববার সকাল ১০টায় বর্নি এলাকার লোকজন অন্তত ১০ কিলোমিটার হেঁটে মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বর্নি মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কোম্পানীগঞ্জের লোকজনও। অপরদিকে নদীর ওপারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার লোকজনকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলায় অংশ নিতে মাইকে আহ্বান জানায় বর্ণি গ্রামের লোকেরা। সেই সঙ্গে লোকজনকে মারামারিতে উদ্বুদ্ধ করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক বেঁধে স্লোগান দিতে দিতে সামনে এগিয়ে আসেন তারা।

অন্যদিকে, কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনও প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় রণসাজে প্রস্তুত ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান উভয় গ্রামের লোকজন। এ সময় বৃষ্টির মতো চারদিকে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারবার চেষ্টা করেও সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে দুপুর ২টার দিকে সিলেট থেকে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

এ ঘটনায় দুইদিনে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বর্ণি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুইপক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের আগে আর কেউ উসকানি দিলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, গতকালের ঘটনার জেরে রোববার সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন। বর্তমানে দুই পক্ষ শান্ত রয়েছেন। তবে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com