কুমিল্লার তিতাসে প্রাণঘাতী বাসের ধাক্কায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় একতা পরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বাস আটক করেছে ছাত্রজনতা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলা বাতাকান্দি বাজারের খেলু মিয়া ব্যাপারীর সুপার মার্কেটের সামনে নিহতের মরদেহ রাস্তার পাশে রেখে ৬/৮ টি বাস আটকে রেখে রাস্তায় অবস্থান করতে দেখা যায় ছাত্রজনতাকে।
নিহত রাফিউল বশর (১১) উপজেলা উলুকান্দি গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে ও কড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের বাবা আয়নাল হক জানান, গত ১৭ দিন পূর্বে হোমনা-গৌরীপুর সড়কের তিতাস থানাগেট সংলগ্ন দিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল রাফিউল এ সময় দ্রুতগতির একটি বেপরোয়া একতা সার্ভিসের বাস রাফিউলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালায়ন করে চলে যায়। সাথে সাথে রাফিউল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। ঢাকা নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিউলকে (ICU) তে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাফিউলের সহায় সম্বলহীন বাবার আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় কয়েকদিন (ICU) তে রাখার পর খরচ যোগাতে না পারায় সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। সেখানে দীর্ঘ ১৭দিনে ঘরের শেষ সম্বল স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র বিক্রি করে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করেও ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি। গত সোমবার রাত ৯টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাফিউল।
ইতিপূর্বে একতা সার্ভিসের মালিক সমিতির লোকজন আমার সাথে অনেক ছলচাতুরী করেছে। আমাকে থানায় অভিযোগও করতে দেয়নি। চিকিৎসা বাবদ টাকা দেবে বলে অনেক প্রতারণা করেছে আমার সাথে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করলে আমার আদরের দুলালটি হয়ত আজ বেঁচে যেত।
এ ব্যাপারে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর