বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করেছেন। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। তারা জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত করেছে। কথাগুলো বলেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাগেরহাট -২ (সদর কচুয়া) আসনের সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম।
তিন আরো বলেন, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিঃস্বার্থভাবে ও ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে বাগেরহাটের জনগণের জন্য কাজ করেছি। দীর্ঘ এত বছর কেটে গেলেও আমার কাজের জন্য বাগেরহাট জেলার মানুষ আমাকে স্মরণ করছে। দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার আমাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি করেছিল। কিন্তু খুনিদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আমি নিজের জীবন বাঁচাতে বাগেরহাটের জনগণকে সময় দিতে পারিনি। এখন সময় এসেছে বাগেরহাটের মানুষের জন্য পুনরায় কিছু করার, তাই আপনারা আমাকে ডেকেছেন আমি সাড়া দিয়েছি। আমি বাগেরহাটের জনগণের জন্য আবারো কিছু করতে চাই।
এ সময়ে তিনি আরো বলেন, আমার নিজের ব্যক্তিগত অর্থে গড়া প্রতিষ্ঠানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু একটা মহল ষড়যন্ত্র করে তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরবর্তীতে করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান টুটুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন জিলানীসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর