বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পাঁচদিনের জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিয়েছেন সাদপন্থী অনুসারীরা। ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা শুরু হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাদ অনুসারীদের সাথী মাওলানা সাদ অনুসারী মুফতি মুয়াজ বিন নূর।
ইজতেমা ময়দানে ও আশপাশে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা তিন এ দাঁড়িয়েছে। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান ওই তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সাদ অনুসারী মুফতি মুয়াজ বিন নূর বলেন, বিশ্ব ইজতেমার আগে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাবলীগের সাথীরা ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে এসে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। রাতে তারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলে জুবায়ের অনুসারীদের লোকজন সাদ অনুসারী মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদ অনুসারী সাথীরা জুবায়ের অনুসারীদের ধাওয়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেছি আমরা জোড় ইজতেমা করেই ফিরব। তবে এই হতাহতের দায় তারা নিচ্ছেন না। যারা নিরীহ মুসল্লিদের উপর প্রথমে হামলা করেছে তারাই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে তিনি জানান।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাসিন্দারা।
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার দুই পক্ষের মুসল্লিরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন এতেই আমরা আতঙ্ক।
মিলগেট এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। হাজার হাজার মুসল্লিদের মধ্যে কারা কোন পন্থী এটা বোঝার উপায় নেই। সরকারের উচিত অবিলম্বে বিপক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা করা।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও ইজতেমা ময়দানে আশপাশে মোতায়েন রয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর