চরফ্যাশনে এক সন্তানের জননী মাকসুদা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে মাকসুদাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ইউসুফের বাড়ির সব লোক আত্মগোপনে চলে গেছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড চার ফকিরা গ্রামের স্বামী ইউসুফ আলীর বসত ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন শশীভূষণ থানা। মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড চর আইচা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল মাজেদের মেয়ে মাকসুদার সাথে হাজারীগঞ্জ চর ফকিরা গ্রামের দিনমজুর ইউসুফ আলীর বিয়ে হয়। মাকসুদা-ইউসুফ দম্পতির ঘরে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে, নাম মারজান। গত সপ্তাহকাল বাবার বাড়িতে বেড়ানোর পর মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী ইউসুফ আলীর ঘরে ফেরেন মাকসুদা। ঘরে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পর স্বামীর বসতঘরের আড়ায় মাকসুদার ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
মাকসুদার বাবা মাওলানা আব্দুল মাজেদ অভিযোগ করে জানান, মেয়ে মাকসুদা তার স্বামী ইউসুফ আমার বাড়িতে এক সপ্তাহ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ৫ বস্তুা চাউল সহ স্বামী ইউসুফ আলীর বাড়িতে যান। স্বামী ইউসুফ আলী ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে মারধর করেছেন। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সকলে মিলে মেয়ে মাকসুদাকে গলাটিপে হত্যার পর তার মরদেহ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিক হাসান রাসেল জানান, নিহতের বাবা মাওলানা আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মেয়েকে হত্যার দাবী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর