'ঢাকায় নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা না করালে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে থাকবে মো. সফি আলম (১৪)।' এমন কথা জানিয়েছেন মো. সফি আলম এর মা লিলুফা।

অর্থাভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা অনিশ্চিত হওয়ায় দিশেহারা বাবা মো. বসু (৫৬)। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে মো. বসু এর অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে। পেশায় তিনি দিনমজুর। তিন ছেলে ও স্ত্রীসহ পাঁচ সদস্যদের সংসারের দায়িত্ব একাই তার কাঁধে।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে মো. সফি আলম এর বাড়িতে। ওইদিন নারিকেল গাছের চুড়া থেকে পড়ে তার ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙে যায়। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সে মো. বসু এর মেঝো ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মো. সফি আলম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পেরে বিছানায় দিন-রাত পার করছেন কিশোর সফি আলম।

মো. সফি আলম এর বাবা মো. বসু (৫৬) বলেন, 'আমার ছেলের ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। চরফ্যাসনের ডাক্তার বলেছে আমার ছেলে সফি আলম কে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে। কিন্ত উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো আমার সামর্থ্য নাই। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব না।'

এদিকে ছেলের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে রান্নার চুলাও জ্বালাতে পারেননি মো. সফি আলম এর মা লিলুফা। তিনি বলেন, 'আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারলে পঙ্গু হয়ে যাবে। ওর বাবার সামান্য আয়ে কোনোমতে সংসার চলে। ঢাকায় নেওয়ার মতো টাকা আমাদের নাই। মানুষের সাহায্য ছাড়া কোন উপায় নাই।'

ছেলে মো. সফি আলমকে পঙ্গুত্ব জীবন থেকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্য চেয়েছেন তার বাবা মো. বসু। 

মুনতাসির/সাএ