বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা গাজী মুহাম্মাদ আবদুর রহীম বলেছেন, টঙ্গি ইজতিমা মাঠে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সাধারণ নিরীহ চারজন মুসল্লির যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা দেশবাসী কখনো আসা করেনি।
উগ্র সাদপন্থীরা তাবলিগের নামে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই হত্যাকাণ্ড তাবলিগকে কলঙ্কিত করেছে। যাদের প্ররোচনায় এবং নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় মোক্তারপাড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের সামনে টঙ্গি ইজতিমা মাঠে সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের দাঁড়ায় চারজন মুসল্লী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভার সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারেনা। সাদ পন্থীদের সকল কার্যক্রম সারাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এদের বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের সজাগ থাকতে হবে, এরা বিগত স্বৈরশাসক হাসিনার দালাল হিসেবে তৎকালীন সময়ে কাজ করেছে, যা দেশের সচেতন মানুষ সাক্ষী আছে। তাদের কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে নিয়ে আসতে হবে। নচেৎ পরবর্তী দুর্ঘটনার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।
জেলা খেলাফত আন্দোলনের আহবায়ক মাওলানা খাইরুল বাশারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুফতি আব্দুল আওয়াল, কারী আব্দুল কুদ্দুস, হাফেজ সারওয়ার আলম, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মাওলানা আব্দুর রহমান জামী, মাওলানা সালমান, মাওলানা হযরত আলী, মুফতি আব্দুল্লাহ্, মাওলানা সোলাইমান হাকিম নুরী, ছাত্রনেতা বীন ইয়ামিন ও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি মোক্তারপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বের শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রেসক্লাবে সামনে আসে। পরে সেখান থেকে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর নেত্রকোনায় বিভিন্ন মসজিদে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর