বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানী ঢাকার করাইল বস্তির বৌ-বাজার অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ঘণ্টাখানেক পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে হতাহতের খবর না মিললেও সেখানকার বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কড়াইল বস্তির এই আগুনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রনেদিত।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘ইউনুসের বড় সংস্কার- আগুনে পুড়ে সব ছারখার।’
স্ট্যাটাসের সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের ক্লিপ শেয়ার করা হয়, যেখানে করাইল বস্তিতে আগুনের খবর ছিল।
এই স্ট্যাটাসে পরোক্ষভাবেই কড়াইল বস্তির আগুনের জন্যও ইউনূস সরকারকেই দায়ী করছে আওয়ামী লীগ। শুধু বস্তির আগুনই নয়, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাতেও আঙুল তুলতে দেখা যায়। যেখানে দলটি অন্তবর্তীকালীন সরকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের এ ধরনের স্ট্যাটাসে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি দলটি সমালোচনার মুখে পড়ছে। সাধারণ মানুষের মতে, অগ্নিকাণ্ডের মতো একটি মানবিক বিপর্যয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা অনৈতিক।
এদিকে বিগত মাসখানেকের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ কেবল এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই নয়, বরং সাম্প্রতিক সময়ে ইউনুস সরকারকে প্রায় সকল ইস্যুতে দোষারোপ করছে। যেকোনো ঘটনার দায় সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে এই রাজনৈতিক দলটি।
করাইল বস্তির অগ্নিকাণ্ড যেমন একটি মানবিক বিপর্যয়, তেমনি এটি রাজনৈতিক বিতর্কেও রূপ নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং মানবিক বিষয়গুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখা প্রয়োজন। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর