বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মামলার ০৪ নং আসামি নাইমুল শেখকে (৩০) আটক করা হয়েছে।
আটককৃত নাইমুল শেখ মঘিয়া ইউনিয়নের আইউব আলী শেখের ছেলে। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর মঘিয়া ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার ছেলে রায়হান বাদী হয়ে ০৫ জনকে আসামি করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
হামলার ঘটনায় মামলার অন্য আসামীরা হলো- ওবায়দুল শেখ (৩৫), আইয়ুব আলী ফকির (৪৫), সাখাওয়াত ফকির (৫৬) ও সপ্না বেগম (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে মঘিয়া ইউনিয়নের ওবায়দুল শেখ এর নেতৃত্বে নাঈম শেখসহ স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজ, ঘের দখল, লুটপাটসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে মঘিয়া ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার (৬৮) স্ত্রীর নামে সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে জমিতে চাষাবাদ করতে আসে ওবায়দুল শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী। এতে গোলাম মোস্তফা ও তার দুই ছেলে জমিতে চাষাবাদের কাজ করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামি মো. ওবায়দুল শেখ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে গোলাম মোস্তফা তার বড় ছেলে আল ইমরান ও ছোট ছেলে রায়হান রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গোলাম মোস্তফাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার মেজো ছেলে গোলাম মর্তুজা বলেন, আমার পিতা ও বড় ভাইকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখন করেছে। এখনো আমার পিতা গুরুতর মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি জানান, আমার পরিবার কোন রাজনীতির দলের সাথে সম্পৃক্ততা নয়। সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের নামের সম্পত্তি দখল করতে এসে বেআইনিভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এর সঠিক বিচার ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলায় আমরা নাইমুল শেখকে আটক করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। আরো জানান, আটক নাঈম শেখের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর