টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া অর্থ সহায়তা বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত আসা শুরু হয়েছে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের নিয়মিত নিলামের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বিল বিক্রি করেও বাজার থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। ৪টি নিলামে এ পর্যন্ত সবমিলিয়ে বাজার থেকে তোলা হয়েছে ২ হাজার ৮৩ কোটি টাকা।
জানা যায়, উদ্বৃত্ত তারল্য থাকা ব্যাংক ও বাজার থেকে এসব টাকা তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
সরকার পরিবর্তনের পরই উঠে আসে ব্যাংক খাতের দুরবস্থার চিত্র। সংকট সমাধানে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬টি দুর্বল ব্যাংককে সহায়তা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মূল্যস্ফীতি যেন না বাড়ে, সেজন্য বাংলাদেশ বিল নামে নতুন বন্ড ছাড়া হয়। এর মাধ্যমে গ্যারান্টি চুক্তি নয়, বরং নিজেই বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘নিলামের মাধ্যমে আমরা টাকা তুলে আনার চেষ্টা করছি। একটি কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যখন ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাজারে দিয়েছি, আমাদের কিন্তু একটা এনালাইসিস রয়েছে। আর সেটা হলো, বাজারে আমাদের রিজার্ভ মানির পরিমাণ। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, রিজার্ভ মানির পরিমাণ যত থাকা উচিত, আমাদের এই ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিলেও আমরা তার নিচে থাকছি। আসলে এটা মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে না।’
বর্তমান বাস্তবতায় নিলামের মাধ্যমে টাকা তোলার প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফেরও। এ ছাড়া নতুন করে তারল্য সহায়তা না দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুপারিশ সংস্থাটির। সহায়তার টাকা যত দ্রুত সম্ভব বাজার থেকে তুলে নেয়ার পরামর্শও তাদের।
দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে। এ সময়ে টাকা ছাপানো হলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সামগ্রিকভাবে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ চলছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর